COP26 : ঘাড়ের কাছে বিপদ, মহাসাগর থেকে টুভালুর সতর্কতায় বিশ্ব কাঁপল

News Desk: বিশ্ব উষ্ণয়নে বাড়ছে সাগর, মহাসাগরের জলস্তর। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে বিশ্ব। তবে উন্নত দেশগুলি মুখেই আশঙ্কা করছে। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ডের রাজধানীতে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলন…

united-nations-climate-change-conference

News Desk: বিশ্ব উষ্ণয়নে বাড়ছে সাগর, মহাসাগরের জলস্তর। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে বিশ্ব। তবে উন্নত দেশগুলি মুখেই আশঙ্কা করছে। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ডের রাজধানীতে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ উপলক্ষে বিশ্বকে সতর্কতা দিল ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র টুভালু।

সাগর জলে দাঁড়িয়ে টুভালির বিদেশমন্ত্রী সাইমন কোফে বলেছেন, পরিস্থিতি কীরকম তা আন্দাজ করতেই এই বার্তা। যেভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে টুভালু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

   

প্রশান্ত মহাসাগরের তটরেখায় একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে সানুদ্রিক জলস্তর বৃদ্ধির যে সতর্কতা দিল টুভালু সরকার, তা বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ, এমন সতর্কতা আর কোনও দেশ দিতে পারেনি এই সম্মেলনে।

united-nations-climate

মঙ্গলবার দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুর সরকার তাদের অবস্থান ও সতর্কতা সংক্রান্ত বার্তা দেবে এমনই নির্ঘণ্ট তৈরি। সেই সূচি মেনে টুভালুর বিদেশমন্ত্রী ভিডিও বার্তা পাঠান জলবায়ু সম্মেলনে। তারই কিছু ছবি বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

২০০৯ সালে বিশ্ব উষ্ণায়ণ নিয়ে মালদ্বীপ সরকার বিশ্বকে সতর্কতা দিয়েছিল ভারত মহাসাগরের  তলায় বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে। তৎকালীন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা ডুবুরির পোশাক পরে এই বৈঠক করেন।

বিবিসি জানাচ্ছে, জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ ইতিমধ্যেই বিতর্কিত। কারণ, আবহাওয়া ও প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ আর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মেলন বিভিন্ন দেশের ভূমিকা নিয়ে প্রবল বিরোধিতায় সামিল। বারবার গ্লাসগো শহর বিক্ষোভে সরগরম হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ রুখচে সম্মেলনস্খলে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বড় বড় দেশগুলি শুধু দেখনদারি প্রতিবাদ করেই দায় ঝাড়ছে। তাদের উদাসীনতায় বহু দেশ বিপদের সামনে।

বিবিসি জানাচ্ছে, জলবায়ু সম্মেলন থেকে বার্তা এসেছে এটাই শেষ সুযোগ। সম্মেলনের সভাপতি, ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেছেন, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি হার ১.৫ ডিগ্রিতে বা তার নীচে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, ”ছয় বছর আগে প্যারিসে আমরা একটি যৌথ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম,” ২০১৫ সালে প্যারিসে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার চুক্তি হয়েছিল। সেখানে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার চেষ্টার কথা বলা হয়েছিল।”