Yogashree Scheme: বিনামূল্যে ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকার স্টাইপেন্ডারি কোচিংয়ের আবেদন শুরু

অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর, আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর ও পশ্চিমবঙ্গ তপশিলি জাতি, আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের যৌথ উদ্যোগে তপশিলি জাতি ও…

Yogashree scheme

অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর, আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর ও পশ্চিমবঙ্গ তপশিলি জাতি, আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের যৌথ উদ্যোগে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াদের “যোগ্যশ্রী” প্রকল্পের (Yogashree Scheme) বিনামূল্যে ২০২৫ সালের ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রবেশিকা পরীক্ষার স্টাইপেন্ডারি কোচিং এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

বিগত ২ বছরের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কোচিং-কে “যোগ্যশ্রী” প্রকল্পের সম্মান দিয়েছেন।
সারা রাজ্যে মোট ৫০ টি সেন্টারে ২০০০ জন পড়ুয়াদের কোচিং দেওয়া হবে। অনলাইন ও অফলাইন ২ টি মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে। আবেদনের ফর্ম বা অনলাইন আবেদনের জন্য www.anagrasarkalyan.gov.in ও www.wbbcdev.gov.in — এই দু’টি ওয়েবসাইট দেখুন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ জুন, ২০২৪।

   

​আবেদনকারীর যোগ্যতা: (১)জাতিগত সংশয় পত্র থাকা আবশ্যক।
(২) পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার মধ্যে হতে হবে।
(৩) তপশিলি জাতির পড়ুয়াকে মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াদের ৫০ শতাংশ নম্বর উক্ত কোচিংয়ে আবেদনের জন্য পেতে হবে।

​আবেদনের পদ্ধতি: (১) অনলাইন আবেদন উপরে উল্লিখিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যাবে।
(২) অফলাইন আবেদনের ফর্মও একই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে। ফর্ম ডাউনলোড করে ফিল আপ করার পর, পড়ুয়ার বাড়ির নিকটবর্তী সেন্টারে (ওয়েবসাইটে ৫০ টি সেন্টারের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেওয়া আছে) জমা করতে হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাবে।
মেধার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ২০০০ জন পড়ুয়াকে সারা রাজ্য থেকে ২০২৫ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য বাছাই করে নেওয়া হবে। প্রত্যেক পড়ুয়া মাসিক ৩০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবেন।

বিগত ২ বছরে গোটা রাজ্যের ৩৬ টি সেন্টারের মোট ২৮৮০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২০৬৩ জন পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আর্থ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ সগৌরবে; আইআইটি তে ৯ জন, ৫ জন আইআইআইটি, এনআইটি – তে ১৪ জন, রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস- এ ৩৪ জন পড়ুয়া এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ জন পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছেন। আগামী ৫ বছর পর এরাই রাজ্যের এক একটা পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর আশার আলো হয়ে উঠবেন।