মারিশদার পুনরাবৃত্তি চাকদহে! ফের পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ অভিষেকের

জনসংযোগ বজায় না রাখায় ফের পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার পুনরাবৃত্তি এবার নদিয়ার চাকদহে। এবার নদিয়ার চাকদহের তাতলা ১…

Abhishek Banerjee

short-samachar

জনসংযোগ বজায় না রাখায় ফের পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার পুনরাবৃত্তি এবার নদিয়ার চাকদহে। এবার নদিয়ার চাকদহের তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানলা গ্রামের ধনিচার প্রধান পার্থপ্রতীম দে-কে সোমবার সকালের মধ্যে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের।শনিবার অভিষেকের সভা ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল তুমুল উন্মাদনা। কিন্তু সভার শুরুর থেকেই দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলা পরায়ন এবং জনদরদী হওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন একের পর এক।

   

এরপরই প্রসঙ্গ আসে চাকদহের তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানলা গ্রামের প্রধান পার্থপ্রতীম দে’র। তিনি জনসভায় উপস্থিত কিনা, বারবার সে প্রশ্ন করতে থাকেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, “গ্রামটায় শেষ কবে গিয়েছিলেন?” তারপর নিজেই বলতে শুরু করেন, ওই গ্রামটিতে কয়েকটি তফশিলি উপজাতি পরিবারের সদস্যদের বাস। গ্রাম থেকে কিছু অভিযোগ পেয়ে চারজনকে গ্রামে পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁদের কাছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ৪ বছরের মধ্যে একবারও গ্রামে যাননি পঞ্চায়েত প্রধান।

কড়া ভাষায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশে আরও বলেন, “মানুষ সার্টিফিকেট দিলে প্রধান, নইলে নয়। মানুষ সার্টিফিকেট দেননি। আপনি প্রধানের মতো কাজ করেননি। যদি ৪ বছরে গ্রামে একবারও না যান তাহলে প্রধানের চেয়ারে বসার অধিকার নেই আপনার। সোমবার সকালের মধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেবেন।”

ডিসেম্বরের শুরুতে কাঁথির সভায় যাওয়ার আগে মাঝপথে কনভয় থেকে নেমে মারিশদা গ্রামে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার মহিলারা বাড়ি,রাস্তা,নিকাশি নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের সকলকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি অভিষেক খোঁজ নেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিষয়ে। এরপর কাঁথির জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মারিশদা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিদের ইস্তফা দিতে হবে। অভিষেকের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফাও দেন তাঁরা। এবার দেখার ধনিচা গ্রামের প্রধান কী করেন।