অবশেষে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিংও (Mohammedan SC)! প্রতিযোগিতা মাঠে নয়, মহমেডান বাকি দুই প্রধানের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ক্লাবের পরিকাঠামোর উন্নয়নে। ঐতিহ্যের মহমেডান স্পোর্টিংয়েও এবার সম্পূর্ণ আধুনিকতার ছোঁয়া!
প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে মহমেডানে। মূল তাঁবু ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তৈরি হবে দুটো নতুন ড্রেসিংরুম। একটি সাদা-কালো জার্সির ফুটবলারদের জন্য, অন্যটি প্রতিপক্ষ দলের জন্য। পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ড্রেসিংরুমে প্রত্যেক ফুটবলারের জন্য আলাদা লকার, ক্যাবিনেট, জার্সি রাখার জায়গা এবং আধুনিক মানের বাথরুম, একদম বিদেশি ক্লাবের মত। আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে জীর্ণ ক্যান্টিন। সেখানে এখন অত্যাধুনিক মানের সুসজ্জিত ক্যাফেটোরিয়া! আধুনিক এলইডি লাইটে ক্যাফেটোরিয়ায় এখন আর কাজু-র ‘পেঁয়াজি’ পাওয়া যাবে না। পাস্তা থেকে গরম ফিশ-ফ্রাই এখন ক্যাফেটোরিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় দুটি খাবার।
সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মূল তাঁবু এবার দ্বিতল হচ্ছে। নীচে কনফারেন্স রুম আর ওপরে অফিস ঘর। ফুটবলারদের তাঁবু থেকে মাঠে ঢোকার রাস্তাও আমূল বদলে গিয়েছে। আগের মত গ্যালারির পাশ দিয়ে ফুটবলারদের মাঠে ঢুকতে হবে না। বিশেষত, দল হারলে তাঁবুতে ফেরার সময় ফুটবলারদের প্রাপ্তি ছিল গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অশ্রাব্য গালিগালাজ, এমনকী ইট, পাটকেলও! এবার সেখানে তৈরি হয়েছে আলোকিত টানেল! শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেই টানেলের মধ্যে, দু’পাশে রাখা হয়েছে মহমেডানের প্রাক্তন কিংবদন্তি ফুটবলারদের ছবি। এসবের সঙ্গে ক্লাব তৈরি করেছে চোখধাঁধানো মাঠ। দুটো বালির স্তর দেওয়া হয়েছে যাতে বর্ষায় মাঠ আগের মত কর্দমাক্ত না হয়ে যায়। তার সঙ্গে ৪৫ লক্ষ টাকায় নতুনভাবে তৈরি হয়েছে ড্রেনেজ সিস্টেম।
প্রাক্তন ফুটবলার, বর্তমানে ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাসের কথায়, “ইতিহাসকে ধরে রেখেই আধুনিকতার পথে এগোচ্ছি আমরা। এই নতুন কর্মযজ্ঞের মোট খরচ দেড় কোটি টাকারও বেশি। ২২ ফেব্রুয়ারি ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতে উদ্বোধন হবে নতুন ক্লাব তাঁবুর।