মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্লাবের সভাপতিbকে হতে চলেছেন, এই প্রশ্নে আপাতত সরগরম কলকাতা ময়দান। একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে ক্লাবের অন্দরে কান পাতলে। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেনের নাম।
বুধবার মোহনবাগানের কার্যকরী সমিতির বৈঠক। সেখানেই সভাপতির নাম চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে শ্যামল সেন এগিয়ে রয়েছেন বলে ফুটবল মহলের একাংশের অনুমান।
ফুটবল প্রেমীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও নজরে রাখছেন সবুজ মেরুন তাঁবুর দিকে। কারণ ক্লাবের অন্দরে শাসক শ্রেণীর নেতা সমাগম। সেই সঙ্গে শ্যামল সেনের সম্ভাবনা।
মার্চের ৩০ তারিখের খবর, শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে কুণাল ঘোষ। যিনি তৃণমূলের মুখপাত্র। আগেও তৃণমূলের নেতা ক্ষমতা লাভ করেছেন বাগানে। অরূপ রায় ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সচিব বাবুন ব্যানার্জী। ক্রমে ক্লাবে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই অনুমান। দেবাশীষ দত্ত সম্প্রতি ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছে। যার পিছনে বাবুন ব্যানার্জীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
টুটু বসু সরে যাওয়ার পর ক্লাব অন্দরে বদল আসছে। সমর্থক-উৎসাহীদের মধ্যে নানান প্রশ্ন। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের চোখে আরও একটি বিষয় পড়েছে। ক্লাবে তৃণমূলের ছায়া তো পড়েইছে, সেই সঙ্গে রয়েছে সারদার ছায়া। অর্থাৎ সারদা চিটফান্ডের।
কারণ, মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটিতে এখন কুণাল ঘোষ রয়েছেন। শ্যামল সেনের প্রবল সম্ভাবনা বলে শোনা যাচ্ছে। ইনি সেই শ্যামল সেন যাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল সেন কমিশন। তখন ২০১৪ সাল। সারদার সব আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কমিশন। রাজ্য সরকারকে দুষেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন। বলেছিলেন, “কমিশনের হাতে অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কয়েকটি সম্পত্তি রয়েছে। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, রাজ্য আদালতে গিয়ে তা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে। সেই সম্পত্তি বিক্রি করেই টাকা ফেরানো সম্ভব।”
মাঝে প্রায় দশটা বছর কাটতে চলেছে। সারদা কাণ্ডের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। সে’দিন শ্যামল সেনের রিপোর্ট উঠে এসেছিলেন সংবাদ শিরোনামে। এরপর তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকার কিংবা কুণাল ঘোষের সঙ্গে কোনও সংঘাত হয়েছে এমনটা শোনা যায় না।
গঙ্গা দিয়ে জল বয়ে চলেছে। আরও বয়ে যাবে।