‘আদালতের নির্দেশ অমান্য করে খোলা হয়েছে পোর্টাল’, অনিশ্চয়তায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ! আইনি লড়াই শুরু

কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এবং (Calcutta High Court) এই জটিলতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভর্তি পোর্টাল খোলার কারণে। গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী আবারও এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। (Calcutta High Court) এক আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছেন যে, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ওবিসি (অন্যBackward Class) সংক্রান্ত বিষয়ে সংশোধন না করেই কলেজ ভর্তি পোর্টাল খোলা হয়েছে। বিশেষ করে, ওবিসি – A এবং OBC – B শ্রেণিবিন্যাস রেখেই এই ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে, যা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন মামলাকারী(Calcutta High Court) 

আইনজীবীর অভিযোগ, গত ৭ মে উচ্চমাধ্যমিকের(Calcutta High Court) ফল প্রকাশের পর, কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে, ১ মাস ১১ দিন পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন যে, ১৮ জুন থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে, এটি শুরু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি আবারও জটিল হয়ে ওঠে(Calcutta High Court) 

ভর্তির পোর্টাল এবং আদালতের নির্দে(Calcutta High Court) 

কলেজ ভর্তি পোর্টাল খুলে দেওয়ার পর, বিশেষভাবে(Calcutta High Court) যে বিষয়টি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তা হল, ওবিসি সংক্রান্ত মামলার নির্দেশনা অবজ্ঞা করা। কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছিল। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, এই ধরনের শ্রেণিবিন্যাসে কোন পরিবর্তন না আনলে পরবর্তী ভর্তি প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক হতে পারে। তবে, বর্তমানে পোর্টাল খোলার সাথে সাথে ওবিসি – A এবং OBC – B শ্রেণিবিন্যাস রেখেই আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে, যা আদালতের নির্দেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।(Calcutta High Court) 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করার ফলে আগামী দিনে কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়ায় নানা রকম আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। যে কারণে, দ্রুত বিষয়টি সমাধান না হলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎেও এর প্রভাব পড়বে।

সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টা(Calcutta High Court) 

সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টাল (CAP) দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া (Calcutta High Court) শুরু হয়েছে ১৮ জুন থেকে। প্রথম দফায় আবেদন করা যাবে ১ জুলাই পর্যন্ত, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দের সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। এই বছর ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪৬০টি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। তবে, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এবং স্বায়ত্তশাসিত কলেজগুলিকে এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তদুপরি, সংখ্যালঘু কলেজ ও আইন কলেজগুলোও এই ভর্তি প্রক্রিয়ার আওতায় থাকবে না(Calcutta High Court) 

এদিকে, চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওবিসি সংরক্ষণ সম্পর্কিত নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই আদেশের ফলে আবারও ভর্তি প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া আরও বেশি দেরিতে শুরু হতে পারে, এবং বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য পৃথক নীতিমালা অনুসরণের কারণে ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।(Calcutta High Court) 

আইনি জটিলতা এবং ভবিষ্যৎ(Calcutta High Court) 

আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু আদালতের(Calcutta High Court) নির্দেশ উপেক্ষা করে পোর্টাল খোলা হয়েছে, তাই এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, যদি দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান না হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিকতা ও স্বচ্ছতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।(Calcutta High Court) 

বিশেষভাবে, ওবিসি বিষয়ক মামলার পাশাপাশি, আরও(Calcutta High Court) কিছু আদালতের নির্দেশনা রয়েছে যেগুলি কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের আইনি সমস্যার সমাধান না হলে, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মিত কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং, আদালতের নির্দেশনা মেনে কাজ করা একান্ত জরুরি(Calcutta High Court) 

এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে কলেজ ভর্তি না হলে, তাদের শিক্ষা জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। আবার, আইনি বিষয়গুলির সমাধান না হলে সামাজিক ন্যায়বিচারও ঝুঁকির মুখে পড়বে।(Calcutta High Court)