কালীগঞ্জের উপনির্বাচন (Kaliganj By Election) শেষ পর্যন্ত সাফল্যের সাথে (Kaliganj By Election Result) শেষ হলো, এবং এতে নতুন এক ইতিহাস রচনা হলো। গত ১৯ জুন প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আলিফা আহমেদ, নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে, বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন(Kaliganj By Election)
ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, ৪৭ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে(Kaliganj By Election) বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করে আলিফা আহমেদ কালীগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করেছেন। গণনা শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন আলিফা। একে একে ভোটের ফল প্রকাশ(Kaliganj By Election) হতে থাকলে, ধীরে ধীরে তাঁর জয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। অষ্টাদশ রাউন্ডের পরেই জানা যায়, ২০২১ সালে প্রয়াত বিধায়কের যেই ব্যবধান ছিল, তা এখন তাঁর মেয়ে ছাপিয়ে গেছেন(Kaliganj By Election)
এই বিজয় শুধু আলিফা আহমেদের ব্যক্তিগত নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যও একটি বড় অর্জন। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই জয়কে গণতন্ত্রের জয়(Kaliganj By Election) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেছেন, “কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এলাকার সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব জাতি এবং সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার(Kaliganj By Election) প্রয়োগ করে আমাদের বিপুলভাবে আশীর্বাদ করেছেন। আমি নতমস্তকে তাঁদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।(Kaliganj By Election) এই জয়ের প্রধান কারিগর মা-মাটি-মানুষ। আমার কালীগঞ্জের সহকর্মীরা এর জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন। তাঁদেরও আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সবার জন্য রইল আমার প্রণাম ও সালাম। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদকে স্মরণ করে আমি এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করছি।(Kaliganj By Election)
মমতার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাঁর কাছে এই জয় শুধু তৃণমূলের জন্য নয়,(Kaliganj By Election) বরং এক আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তিনি এটিকে প্রমাণ হিসেবে দেখেছেন যে, মানুষের আস্থা ও সমর্থন আজও তৃণমূলের প্রতি অটুট রয়েছে। এবং এটি একইভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কখনও কমেনি, বরং তা আরও গভীর হয়েছে(Kaliganj By Election)
কালীগঞ্জের এই নির্বাচনের ফলাফল আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান এখনও শক্তিশালী। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের(Kaliganj By Election) গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা অত্যন্ত বেশি। এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল, সেখানে এখনকার এই উপনির্বাচনের ফলাফলও সেই একই ট্রেন্ডকে বজায় রেখেছে(Kaliganj By Election)
কালীগঞ্জের মানুষজনও আশাহত হয়নি। তারা ভোট দিয়ে সেই(Kaliganj By Election) ব্যক্তিকেই জয়ী করেছে, যাকে তারা বিশ্বাস করেছে এবং যিনি তাদের জন্য কাজ করে গেছেন। আলিফা আহমেদ, তার প্রয়াত বাবা নাসিরউদ্দিন আহমেদের কাজ ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে, আগামী দিনগুলোতে আরও বৃহত্তর প্রকল্প নিয়ে মানুষের সেবা করতে প্রস্তুত।
এই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর পরাজয় অবশ্যই রাজ্য রাজনীতিতে একটি বড় বার্তা দিয়েছে। তারা এই নির্বাচনকে একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখেছিল, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যক্রম এবং নেতাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাদের ভরসা, বিজেপির আশা ভেঙে দিয়েছে।
একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের উল্লাস, অন্যদিকে বিজেপির হতাশা—এটি বাংলার রাজনীতির ভবিষ্যত দিশা দেখানোর একটি বড় ইঙ্গিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, এটি সে প্রমাণ দিল।
আলিফা আহমেদের এই জয় শুধু পরিবারের জন্য নয়, এটি কালীগঞ্জের মানুষ ও রাজ্যের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার সূচনা। আশা করা যায়, আগামী দিনে তিনি আরও শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের এই ফলাফল নিশ্চিতভাবেই রাজ্যের রাজনীতির মঞ্চে একটি নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এবং এটি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবেই দেখা যাচ্ছে।