ঝাড়খণ্ডে ঢুকছে ভারী বৃষ্টি, পশ্চিমবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা, ভাসবে এই সমস্ত জেলা

গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের উপর ভারী বৃষ্টিপাত এবং (Weather Update) দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)-এর জল ছাড়ার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমলেও, জলভাসি পরিস্থিতির বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি। (Weather Update) এর পেছনে মূল কারণ ছিল ঝাড়খণ্ডে অব্যাহত বৃষ্টির দাপট, যা দামোদর নদীর জলস্তরকে বাড়িয়ে দেয় এবং এই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয় ডিভিসির তরফ থেকে।(Weather Update) 

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাটি গত শুক্রবার (Weather Update) থেকে জাতীয় সড়কসহ জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। শনিবার সেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে, ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার বলরামপুর এলাকার ঘটনা মন কাঁদাচ্ছে। সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কংসাবতী নদীতে তলিয়ে গিয়ে। নিহত(Weather Update) ব্যক্তির নাম ক্ষুদিরাম পাতর (৫৫)। তিনি সাঁতার কেটে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবিত ফিরে আসতে পারেননি। শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগেও বৃহস্পতিবার দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যারা জলাধারে তলিয়ে গিয়েছিলেন(Weather Update) 

ডিভিসি শুক্রবার রাত থেকেই ৭০ হাজার কিউসেক(Weather Update) হারে জল ছাড়তে শুরু করেছিল। শনিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭০,৪৭৫ কিউসেক এবং বিকেল নাগাদ তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭,৮০০ কিউসেক হয়ে যায়। এতে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, ও জেলার অন্যান্য অংশে প্রবাহিত নদীগুলির জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ফলে এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে(Weather Update) 

এদিকে, দক্ষিণবঙ্গে এবারও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ানোর(Weather Update) আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকদিনের প্রবল (Weather Update) বৃষ্টিপাতের কারণে বেশ কিছু নদীর জলস্তর বিপদসীমার ওপর চলে গেছে এবং আগামী কয়েকদিনে তা আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।(Weather Update) 

এমন পরিস্থিতিতে, যেসব এলাকার(Weather Update) নদী তীরবর্তী অংশে বন্যার আশঙ্কা ছিল, সেখানে প্রশাসনের তরফ থেকে সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। (Weather Update) স্থানীয় প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। জনসাধারণকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে নদী পারাপার বা নৌকা ভ্রমণে গিয়ে ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য। (Weather Update) যেহেতু নদীগুলির জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই বন্যার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের মতে, উত্তরবঙ্গের মালদহ, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি,(Weather Update) কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি একাধিক জায়গায় বজ্রপাতে হতাহতের আশঙ্কাও রয়েছে(Weather Update) 

এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জরুরি পরিষেবা এবং উদ্ধারকার্য দ্রুত শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, নৌকা উদ্ধারকারী দল, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস সক্রিয়ভাবে(Weather Update) কাজ করছে। কিছু এলাকায় জলমগ্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। কিছু এলাকায় স্কুল এবং কলেজের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে(Weather Update) 

সরকারি পক্ষ থেকে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে, তবে নদী(Weather Update) তীরবর্তী এলাকার জনগণকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।(Weather Update) 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)-এর জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, যা আরও কিছুদিন বন্যার পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে। আপাতত, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেলে, জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে পারে(Weather Update) 

রাজ্যের জনগণের জন্য দুঃখজনক হলেও, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন, এবং যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই একমাত্র সমাধান।(Weather Update)