মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশ দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনিক (Mamata Banerjee) অব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা এবং সম্প্রতি ওয়াকফ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার জেরে নাজেহাল পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছে। বিশেষ করে সুতি, সামশেরগঞ্জ, ফরাক্কা ও আশপাশের অঞ্চলগুলিতে একাধিকবার(Mamata Banerjee) প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। রাতারাতি ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে শতাধিক পরিবারকে। এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল—ফরাক্কা মহকুমার গঠন(Mamata Banerjee)
সোমবার নবান্নে আয়োজিত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই নতুন(Mamata Banerjee) মহকুমা গঠনের প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জঙ্গিপুর মহকুমার অন্তর্গত চারটি ব্লক—ফরাক্কা, সুতি-১, সুতি-২ এবং সামশেরগঞ্জ—এই চারটি ব্লক মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে ‘ফরাক্কা মহকুমা’। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।(Mamata Banerjee)
ওয়াকফ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট(Mamata Banerjee)
গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য জুড়ে ওয়াকফ ইস্যু ঘিরে তীব্র(Mamata Banerjee) অসন্তোষ ছড়ায়। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুর্শিদাবাদ জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে এই আন্দোলন(Mamata Banerjee) ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। সরকারি জমি নিয়ে স্বচ্ছতা ও স্বার্থ সংক্রান্ত প্রশ্ন, স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা—সব মিলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় সামশেরগঞ্জ ও সুতিতে। একাধিক পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়, স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যায়, এবং স্বাভাবিক জনজীবনে ছেদ পড়ে(Mamata Banerjee)
এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এক প্রশাসনিক সভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ওই অঞ্চলের জন্য একটি নতুন মহকুমা গঠন করা হবে, যাতে প্রশাসন আরও কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে এবং সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়।
দ্রুত প্রতিশ্রুতি পালনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ(Mamata Banerjee)
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মাস কয়েকের মধ্যেই সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের পথে। নতুন ফরাক্কা মহকুমা গঠনের ফলে, প্রশাসনিক সুবিধা যেমন বাড়বে, তেমনি পুলিশের তৎপরতাও(Mamata Banerjee) দ্রুততর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মহকুমায় কাজ পরিচালনার জন্য প্রায় ১০৯টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন, মহকুমা শাসকের দফতর, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনাও রয়েছে(Mamata Banerjee)
রাজনৈতিক বার্তাও স্পষ্ট(Mamata Banerjee)
এই সিদ্ধান্ত শুধুই প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকফ আন্দোলনের ফলে ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি একটি আশ্বাস এবং(Mamata Banerjee) নির্দিষ্ট ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দেওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। বিশেষত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে একটি কৌশলগত চাল হিসেবেই দেখা হচ্ছে।(Mamata Banerjee)