D Gukesh: সপরিবারে তিরুমালায় দর্শন শেষে মাথা মুণ্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবারুর

ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডি গুকেশ (D Gukesh) তাঁর পরিবারের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুমালা মন্দির (Tirumala Temple) পরিদর্শন করেছেন। ১৮ বছর বয়সী…

d-gukesh-bald-darshan-god-improve-all-formats-freestyle-chess-verdict

short-samachar

ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডি গুকেশ (D Gukesh) তাঁর পরিবারের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুমালা মন্দির (Tirumala Temple) পরিদর্শন করেছেন। ১৮ বছর বয়সী এই দাবাড়ু দর্শনের পর ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মাথা মুণ্ডন করেছেন। গত বছর সিঙ্গাপুরে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশ ডিং লিরেনকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিলেন। বর্তমানে তিনি ফিডে র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু। মন্দির পরিদর্শনের সময় গুকেশ সাংবাদিকদের জানান, গত বছর ডিসেম্বরে বিজয়ের পর থেকেই তিনি এই মন্দিরে আসতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর আমি সবসময় এখানে আসতে চেয়েছিলাম, তাই আমি খুব খুশি এবং দারুণ দর্শন হয়েছে।”

   

গুকেশ (D Gukesh) টাটা মাস্টার্সে উইজক আন জি-তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। যদিও টাই-ব্রেকার রাউন্ডে আর প্রজ্ঞানন্দের কাছে হেরে যান। এদিকে, ওয়াইসেনহাউস ফ্রিস্টাইল দাবা গ্র্যান্ড স্ল্যামে তিনি জয়হীন একটি সময় পার করেছেন। তবে টাটা মাস্টার্সে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্স তাঁকে র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। এখন তিনি ম্যাগনাস কার্লসেন এবং হিকারু নাকামুরার ঠিক পিছনে রয়েছেন। তিনি বলেন “আমাকে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। ২০২৫ সালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট রয়েছে, তাই আমি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি। সব ফরম্যাটে নিজেকে উন্নত করতে চাই এবং আশা করি, ঈশ্বরের কৃপায় কোনো এক সময় ভালো কিছু ঘটবে।”

সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৫-এ গুকেশ তাঁর বাবা-মায়ের আর্থিক সংগ্রামের কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। তিনি বলেন”আমার মনে আছে, আমার বাবা-মায়ের বন্ধুরা আমাকে বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য স্পনসর করতেন। সেই সময়টা বেশ কঠিন ছিল। অনেক ভালো এবং নিঃস্বার্থ মানুষের সাহায্য আমরা পেয়েছিলাম। গত বছরটা আমাদের জন্য আর্থিকভাবে খুব ভালো গেছে,” তিনি আরও বলেন। “আমার বাবা-মায়ের আর টাকা নিয়ে ভাবতে না হওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আমরা এখন আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারি, আগের মতো সংগ্রাম করতে হয় না।”