আরজি কর কাণ্ডে নিহত তরুণীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (RG Kar Case)। তিনি এই বিষয়ে তার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, “ফরেনসিক ডাক্তার অপূর্ব বিশ্বাস, যিনি ৩১ বছর বয়সী জুনিয়র লেডি ডাক্তারের পোস্টমর্টেম পরিচালনাকারী দলের সদস্য ছিলেন তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিস্ফোরক কথা বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে ময়নাতদন্তের সময় একজন লোক সেখানে ছিল যে নিজেকে ভিকটিমের কাকা বলে পরিচয় দিয়েছিল এবং হুমকি দিয়েছিল যে যদি ওই দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন না হয় তবে তিনি নাকি রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে।” এরপর ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ্যে এনে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “এই ব্যক্তি কে? এই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়।
তিনি পানিহাটি পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলর, যিনি পরে টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটি টিএমসি বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে উঠেছিলেন।”
বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “সবাই জানে ভিকটিমকে তাড়াহুড়ো করে দাহ করা হয়েছে। পুলিশ শ্মশানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিল এবং শ্মশানে লাশটির নিষ্পত্তি করার জন্য তুমুল তাড়া ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
আশ্চর্যের বিষয়, এই সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। নথিতে আরও একজনের নাম/স্বাক্ষর রয়েছে তার নাম সোমনাথ দে। একই নামে পানিহাটি পৌরসভার আরেক প্রাক্তন টিএমসি কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি কি একই ব্যক্তি?” এভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।