বড়সড় স্বস্তি পেলেন অভিনেতা, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার সাহিল খান (Sahil Khan)।মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্ট অভিনেতার আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে। ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী পরিবারের মর্ফড ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল সাহিলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সাহিল সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মণীশ গান্ধী নামে এক ব্যক্তি।
মুম্বই পুলিশ সাহিল খান এবং আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ (মানহানি), ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকির শাস্তি), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে উস্কে দেওয়ার জন্য অপমান করা), ২২৮-এ (ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় ছাপানো বা প্রকাশ করা) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগকারী, মনীশ গান্ধীর দাবি, সাহিল খান এবং তাঁর সহযোগীরা তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে সাইবার প্রতারণা করছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ও ঘৃণ্য ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কিশোর দুই ছেলে-মেয়ের মর্ফড ছবিও ছড়ানো হয়েছে। ঘটনায় আম্বোলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মণীশ গান্ধী নামে ওই ব্যক্তি। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ ফটোশপে তৈরি প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাঁরা মণীশ গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন সাহিল খান ও তাঁর সহযোগীরা।
এফআইআরে একটি প্রদর্শনীতে স্থান বরাদ্দ নিয়ে সাহিল খান এবং কোম্পানির পরিচালকের মধ্যে বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাহিল খান এবং অন্যান্যরা সংস্থার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে ইনস্টাগ্রামে আপত্তিকর এবং অশ্লীল সামগ্রী আপলোড করছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে ডিন্ডোশি দায়রা আদালত সাহিল খানের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়ায় অবস্থানরত সাহিল খান গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
শুনানি চলাকালীন অভিনেতার আইনজীবী চৌহান বিচারপতি এন জে জমাদারকে জানান অভিনেতা এখন রাশিয়ায় রয়েছেন। আদালত চৌহানকে সাহিল খানের ভারতে ফিরে আসার তারিখ উল্লেখ করে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ডিসেম্বর। সাহিল খান তার আইনজীবী রাজীব চৌহানের মাধ্যমে আগাম জামিন চেয়েছিলেন।