Attack on Gaza: “আমরা হামাস নই”, মৃত্যু যন্ত্রনায় ভুগছে গাজার সাধারণ মানুষ

হামাস আক্রমণের পর গাজা উপত্যকায় কয়েক দিন ধরেই বিধ্বংসী এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।ইজরায়েল এই অঞ্চলকে “সম্পূর্ণ অবরোধ” ঘোষণা করেছে। ফলে সেখানে বিদ্যুৎ, খাদ্য,…

হামাস আক্রমণের পর গাজা উপত্যকায় কয়েক দিন ধরেই বিধ্বংসী এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।ইজরায়েল এই অঞ্চলকে “সম্পূর্ণ অবরোধ” ঘোষণা করেছে। ফলে সেখানে বিদ্যুৎ, খাদ্য, জ্বালানী এবং জলের সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। অপরদিকে মিশরও গাজার সীমান্ত দিয়ে মানুষ বা যেকোনো পণ্যের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।তার উপর বারবার বোমাবর্ষণ। লাশের সারি। অবরুদ্ধ ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মৃত্যুকে বেছে নেওয়া ছাড়া আর যেন কোনো উপায় নেই।

গোলাবর্ষণে স্কুলগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, বাড়ির দেওয়াল উড়ে গেছে কোথাও পুরো পরিবার কংক্রিটের নিচে চাপা পড়েছে। ক্রমাগত বোমা বর্ষণের ধোঁয়া এবং ধূলিকণায় সেখানে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছে। বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের আত্মীয়দের রক্ষা করতে লড়াই করে চলেছেন। ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের ডেপুটি কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুগিসিব বলেন, আমরা সবাই নাগরিক, সাধারণ চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, শিক্ষার্থী। আমরা হামাস নই।” শিশুরাই বেশি মারা যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

   

২০ বছর বয়সী নোয়ার দিয়াব বলেন, ‘বিমান হামলায় মিশরীয় সীমান্তও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচার কোনো জায়গা নেই।আমার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই, কারণ আমি এমন একটি জায়গায় আছি যেখানে যে কোনও মুহুর্তে বোমা হামলা হতে পারে। “তিনি আরও বলেন, মানুষ মনে করে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। এটা অসম্ভব। এটা সত্যিই অসম্ভব। আমরা যেতে পারি না এবং পালাতে পারি না, আমরা যেন কারাগারে আছি।

হামাস ফিলিস্তিনি ছিটমহল নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে প্রায় ১৪০ বর্গমাইল এলাকায় ২.২ মিলিয়ন মানুষ বাস করে – এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে একটি। সেখানে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ৩০ বছরের কম বয়সী।

ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১,২০০ মানুষ নিহত এবং ২,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে, যা ৫০ বছরের মধ্যে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ। ইজরায়েলে হামাস কর্তৃক অপহৃত শিশুসহ বেশ কয়েকজনের অবস্থা এখনও অজানা।