Bhutan: বউ খুব ভালো…! ফের শেরিং টোগবে প্রধানমন্ত্রী, বাংলার পড়শি ভুটানে নীরব পরিবর্তন

পাল্টে গেল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশি ভুটানেরপড়ে (Bhutan) ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার শেরিং টোগবে। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে জয়ী হলেন তিনি। তিনি PDP দলের হয়ে ২০১৩-২০১৮ সাল…

Tshering Tobgay

পাল্টে গেল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশি ভুটানেরপড়ে (Bhutan) ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার শেরিং টোগবে। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে জয়ী হলেন তিনি। তিনি PDP দলের হয়ে ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকার চালিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিপক্ষ BTP দলের পেমা চেওয়াং হবেন বিরোধী দলনেতা।

রাজা নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক দেশ ভুটান। দেশটির শীর্ষ ক্ষমতার অধিকারী রাজা। বর্তমান ভুটান রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক। ১৯৪৯ সালের মৈত্রী চুক্তি অনুসারে ভুটান ভারত ঘনিষ্ঠ। তবে নিজেদের প্রতিবেশি ভুটানের প্রতি নজর রেখেছে চিন।

ভোটদেশ ভুটানের ভোটে নীরবেই আম ভুটানিরা বেছে নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। ভুটানের নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, চূড়ান্ত পর্বের ভোটে জাতীয় সংসনের মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি জয়ী People’s Democratic Party (PDP)। দলটির প্রধান শেরিং টোগবে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন ভোটদাতা দেন ভোট। ১৭টি আসন পেয়ে Bhutan Tendrel Party (BTP) বিরোধী দল।

গত ২৯ নভেম্বর প্রাথমিক পর্বের ভোটে হেরে যান  প্রধানমন্ত্রী ডা: লোটে শেরিং। এরপর চূড়ান্ত পর্বের ভোটে তিনি নামতেই পারেননি। করোনা সংকটে তাঁর জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা প্রয়োগে বিশ্বে আলোড়ন পড়েছিল। তাঁকে আগেই গোহারান হারিয়ে দিয়েছেন আম ভুটানিরা।

তীব্র করোনা হামলায় যখন বিশ্বে মৃত্যুর মিছিল চলছিল তখন ভুটান ছিল ‘করোনায় মৃত্যুহীন’। করোনা মহামারীর শেষ দিকে এসে দেশটিতে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। বিশ্ববন্দিত হয়ে গেছে ভুটানিদের করোনা বিরোধী লড়াই। সীমান্তের দুপারে চিন ও ভারতের করোনা মৃত্যুমিছিল থমকে গেছিল ভুটানের ড্রাগন-দরজার সামনে এসে।  করোনা রুখে খ্যাতি পেলেও ভোটে হেরেছেন ডা. শেরিং। চূড়ান্ত পর্বের ভোটে জনগণকে নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে নেওয়ার শুভেচ্ছা দিয়েছেন।

ভুটানে ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে চতুর্থবার নির্বাচন। তবে ভুটান একটি রাজা নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক দেশ বলে চিহ্নিত। চিন ও ভারতের মাঝে থাকা দেশে 800,000 এরও কম লোকের বসবাস। চিনের সাথে কোনও যোগাযোগই নেই ভুটানের। সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও অসম। ভুটানের সাথে সড়কপথে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের যোগাযোগ বেশি