সাদা হাইড্রোজেনের বিশাল খনি আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিলেন এই দুই বিজ্ঞানী

জীবাশ্ম জ্বালানি খোঁজে ফ্রান্সের উত্তর পূর্বাঞ্চলের একটি খনি এলাকায় খনন কাজ চালাচ্ছিলেন দুই বিজ্ঞানী। মূলত মিথেন গ্যাসের সন্ধান করছিলেন তারা। তবে এই গ্যাস খুঁজতে গিয়ে…

জীবাশ্ম জ্বালানি খোঁজে ফ্রান্সের উত্তর পূর্বাঞ্চলের একটি খনি এলাকায় খনন কাজ চালাচ্ছিলেন দুই বিজ্ঞানী। মূলত মিথেন গ্যাসের সন্ধান করছিলেন তারা। তবে এই গ্যাস খুঁজতে গিয়ে শুধু যে মিথেন পেলেন এমনটা নয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেখানে আরো এক জ্বালানির বিপুল মজুত দেখেছেন। যা আরো মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ।

জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে এই আবিষ্কার যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ সাদা হাইড্রোজেন ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। উল্লেখ্য ফ্রান্সের ন্যাশনল সেন্টার ফর সাইন্টিফিক রিসার্চের গবেষনা পরিচালক বিজ্ঞানী জ্যাক পিরনো ও ফিলিপ দে ডোনাতো খনি অঞ্চলে মিথেন গ্যাসের মজুত দেখতে বিভিন্ন গবেষণা করছিলেন।

গবেষণার একপর্যায়ে তারা বিপুল সাদা হাইড্রোজেনের মজুত আবিষ্কার করেন। যা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। জ্যাক পিরনো জানান প্রথমে কয়েকশো মিটার খনন করার পর কিছু হাইড্রোজেনের মজুত পাওয়া যায়। এতে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না কারণ খনিতে অল্প কিছু হাইড্রোজেন পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু খনন যত গভীর হতে থাকে হাইড্রোজেনের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে।

যা দেখে রীতিমতো তারা অবাক হয়ে যায়। জানা যায় সেখানে ১,১০০ মিটার গভীরে ১৪ শতাংশ এবং ১,২৫০ মিটার গভীরে ২০ শতাংশ সাদা হাইড্রোজেনের মজুত পাওয়া যায়। তিনি আরো জানিয়েছেন যে খনিতে আরো বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেনের ভান্ডার রয়েছে তা এখানে প্রমাণ পাওয়া যায়। মজুতের পরিমাণ কেমন হতে পারে এ বিষয়ে তারা হিসাব করেন।

তাদের মতে সেখানে ৬০ লাখ থেকে ২৫ কোটি মেট্রিক টন হাইড্রোজেন রয়েছে। ওই দুই বিজ্ঞানী জানান সেখানে কি পরিমান হাইড্রোজেন রয়েছে সে বিষয়ে জানার জন্য তারা গবেষণা চালাচ্ছেন। এটাই হবে তাদের গবেষণার পরবর্তী ধাপ। গোটা পৃথিবীতে এর আগে এত বড় সাদা হাইড্রোজেনের মজুত আবিষ্কার হয়নি বলে দাবি ওই দুই বিজ্ঞানির। সারদা হাইড্রোজেন প্রাকৃতিক সোনালী ও ভূতাত্ত্বিক হাইড্রোজেন নামে পরিচিত।

প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি এই হাইড্রোজেন মূলত পৃথিবীর বুকে পাওয়া যায়। মূলত ভূগর্ভস্থ জলাধারে এই হাইড্রোজেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গবেষণাগারে উৎপাদন হাইড্রোজেনের থেকে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন অনেক আলাদা। এটি প্রাকৃতিক দূষণ করে না এমনকি কারখানায় তৈরি হাইড্রোজেনের থেকেও কম খরচে পাওয়া যায়।