ডিএ মামলা নিয়ে আশা-নিরাশায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা

ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের দায়ের করা মামলার শুনানি আজ সুপ্রিমকোর্টে। দীপাবলির আগেই কী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সুখবর পাবেন? নাকি অতীতের মতো ফের পিছিয়ে…

ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের দায়ের করা মামলার শুনানি আজ সুপ্রিমকোর্টে। দীপাবলির আগেই কী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সুখবর পাবেন? নাকি অতীতের মতো ফের পিছিয়ে যাবে ডিএ মামলার শুনানি? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

মামলাকারীদের অভিযোগ, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মচারীদের ডিএ দিলেও এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া রাখা হয়েছে। বকেয়া ডিএর পরিমাণ প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা। বারবার রাজ্যকে অনুরোধ উপরোধ করেও কাজ না হওয়ায় বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।

ওই মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য গত বছর ২০ মে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এজন্য রাজ্যকে তিনমাসের সময়সীমাও বেঁধে দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার।

রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কলকাতার শহিদ মিনারে অনশনও করছেন একাধিক সরকারি কর্মচারী। তাদের অনশন তুলে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলেছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মচারীদের জয় হবে। বর্ধিত হারে ডিএ রাজ্যকে দিতেই হবে।”

তৃণমূলের দাবি, বাংলায় তৃণমূলের পরিবর্তে অন্য কোনও সরকার থাকলেও বর্ধিত হারে ডিএ দেওয়ায় সমস্যা ছিল। অতীতে বামেরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারেনি। ঠিক সময়ে পে কমিশন বাস্তবায়িত করতে পারেনি। এমন নয় যে বাংলায় বিজেপি বা অন্য কেউ ক্ষমতায় চলে এলে কেন্দ্র ডিএ বাবদ টাকা দেবে না। সেই রাজস্ব আয় করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।