Bangladesh: স্বাভাবিকের থেকে ২ ফুট উঁচু জল ! ভেঙে পড়ছে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম

ঝড়-ঝাপটা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশকে মায়ের মত রক্ষা করে সুন্দরবন। কিন্তু সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা হচ্ছে না।মানুষের অত্যাচার হোক বা জলবায়ু পরিবর্তন নানা…

ঝড়-ঝাপটা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশকে মায়ের মত রক্ষা করে সুন্দরবন। কিন্তু সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা হচ্ছে না।মানুষের অত্যাচার হোক বা জলবায়ু পরিবর্তন নানা কারণে নষ্ট হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ‘সুন্দরবন’। হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির পাখি থেকে গাছ। নদী-খালে মাছের প্রাচুর্য হ্রাস পেয়েছে।

মানুষের পাশাপাশি বারবার প্রকৃতির আঘাত সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যকে ব্যাহত করছে। বর্তমানে সুন্দরবনের পরিস্থিতি বেশ ভয়ঙ্কর। স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে সেখানে দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতায় জল প্রভাবিত হচ্ছে।এতে প্লাবিত হয়েছে করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী কেন্দ্র। জোয়ারের জলে রাতদিন দুইবার তলিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বন রক্ষীরাও।

সুন্দরবনের একমাত্র সরকারি প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষিত মায়া হরিণ, নোনা জলের কুমির, বানর সহ প্রায় ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। কটকা ও কচি খালির পর্যটনকেন্দ্র তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জলে তলিয়ে গিয়েছে। পূর্ণিমার কটালে আকস্মিকভাবে বেড়েছে এই জোয়ারের জল। ফলে ভেসে গিয়েছে গোটা এলাকা।

বন বিভাগ বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করা হয়েছে। যাতে জঙ্গলের মধ্যে জল বৃদ্ধি পেলেও বন্যপ্রাণীরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। এছাড়া সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগে ৮৮ টি পুকুর খনন করা হয়েছে যাতে জলোচ্ছাস হলে ঐসমস্ত পুকুরের উঁচু পাড়ে বন্যপ্রাণীরা আশ্রয় নিতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিছক একটি বন নয়, এটি একটি ইকোসিস্টেম। এর নদ-নদী, চারিদিকে ঘিরে থাকা বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের এক অনন্য সম্পদ। অথচ অত্যাচার-অনাচারে জর্জরিত বিশ্ব প্রকৃতির বিরলতম সম্পদ বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ক্রমাগত অস্তিত্ব সংকট-ঝুঁকির মুখে পড়ছে। সুন্দরবন হারাতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য। দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য।