Bangladesh: ভিসার ফাঁদে ইডেন বহু দূর! ঘরের কাছে দেশের খেলা দেখতে বাংলাদেশিদের হাহাকার

দলে তামিম ইকবালের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান নেই, গৃহযুদ্ধ চলছে (Bangladesh) বাংলাদেশ জাতীয় দলে। এই অবস্থায় ক্রিকেট বিশ্বকাপে খুব বেশি আশা করছেন না পদ্মাপারের বাঙালিরা। তবে…

দলে তামিম ইকবালের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান নেই, গৃহযুদ্ধ চলছে (Bangladesh) বাংলাদেশ জাতীয় দলে। এই অবস্থায় ক্রিকেট বিশ্বকাপে খুব বেশি আশা করছেন না পদ্মাপারের বাঙালিরা। তবে খেলা যখন ইডেনে তখন তো যেতেই হয় কলকাতায়। ওখানেও বাংলা ফলে আরও সুবিধা। ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিরা বলছেন এক বলের খেলা কখন কী হয় কে জানে। ইডেন টাইগার গর্জন চাই। সেই কারণে ঢাকা সহ দেশের সব ভারতীয় ভিসা সংস্থাগুলিতে পড়ছে লাইন। কলকাতায় ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখতে বিপুল উন্মাদনা। কিন্তু ইডেন যেন বহু দূর!

কলকাতায় এসে বিশ্বকাপ দেখার ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমী মানুষদের। ‘ভিসার ফাঁদে’ পড়ে নাজেহাল অবস্থা ওপার বাংলার মানুষদের। অনেকে ভেবেছিলেন, খেলার সূচি থেকে একমাস আগে ভিসা আবেদন করবেন, আর তা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে হাতে পেয়ে যাবেন। কিন্তু সে রকম হচ্ছে না। বরং কেউ কেউ ভিসা আবেদন করে সাক্ষাৎকারের যে তারিখ পেয়েছেন, তা প্রত্যাশিত ম্যাচের তারিখের পরে। অর্থাৎ ভারতে আসতে পারলেও ইডেনের খেলা আর দেখা হবে না।

আগামী ২৮ অক্টোবর কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে রয়েছে বাংলাদেশের বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের ২২ গজের লড়াই। এর দুদিন পর ৩১ অক্টোবরের বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা। এছাড়াও ৫ নভেম্বর রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের লড়াই, ১২ নভেম্বর পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ। আর ১৯ নভেম্বর আছে ফাইনালের আগে সেমিফাইনাল যুদ্ধ। বিদেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখা অনেকের কাছে স্বপ্ন। প্রতিবেশী কলকাতার মাটিতে ৫টি বড় ম্যাচের আয়োজন থাকায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ খুশি হয়েছিলেন। তবে ভিসা জটিলতায় সেই আনন্দ এখন অনেকটাই মাটি।

বাংলাদেশি পর্যটকদের অভিযোগ, প্রত্যাশিত সময়ে ভারতে যাওয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। এদিকে, পর্যটকদের কেন এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সে সম্পর্কে নেই কোনো ব্যাখ্যাও। তবে এরফলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতার ব্যবাসায়ীদের।

কলকাতার মার্কুইজ স্ট্রিটের এক ব্যবসায়ী বলেন, ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এমনিতেই কলকাতায় কমেছে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। বিশ্বকাপের খেলা দেখতে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে- এমনটা ভেবে প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা সেই বিনিয়োগের টাকা উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।