Pakistan: মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সাঈদ এবার পাক ভোটের প্রার্থী!

পাক (Pakistan নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য হাফিজ সাইদ ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগ’ নামে একটি নতুন দল গঠন করেছে। মোস্ট ওয়ান্টেড সাঈদ পাক সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ…

Hafiz Saeed, the mastermind of the Mumbai attacks,

পাক (Pakistan নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য হাফিজ সাইদ ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগ’ নামে একটি নতুন দল গঠন করেছে। মোস্ট ওয়ান্টেড সাঈদ পাক সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে৷ পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল যা 2008 সালের মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্করের ঘনিষ্ঠ। সেই দলের প্রার্থী হবে হাফিজ সাঈদ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর থেকে এই সংগঠনের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন হল হাফিজ সাঈদের আত্মীয়রা। তারা  নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া বা মিলি মুসলিম লিগের সঙ্গে যুক্ত। সাঈদ লাহোরের একটি কারাগারে বন্দি। বেশ কয়েকটি মামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে মোট 31 বছরের সাজা দিয়েছে। 10 ডিসেম্বর, 2008 তারিখে রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় সাইদ।

   

যে সব সংগঠন পাকিস্তানের ধর্মীয় দলগুলোর ওপর নজরদারি করে, শনিবারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে মারকাজি মুসলিম লীগের তরফে সাঈ এবার নির্বাচনের ‘নতুন রাজনৈতিক মুখ’। তবে দলটির একজন মুখপাত্র অবশ্য সাঈদের সংগঠনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সাইদের ছেলে হাফিজ তালহা সাইদ মারকাজি মুসলিম লীগ পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং লাহোরের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনী এলাকা এনএ-122 থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একই নির্বাচনী এলাকা যেখান থেকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ নেতা ও সাবেক ফেডারেল মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক।

পাক ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে জঙ্গি সাঈদের জামাতা হাফিজ নেক গুজ্জর। সে মারকাজি মুসলিম লীগের টিকিটে প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলি আসন PP-162 থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

PTI জানাচ্ছে অতীতে, জামাত-উদ-দাওয়ার সাথে যুক্ত কিছু লোক ‘মিলি মুসলিম লীগ’ দল থেকে 2018 সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছিল এবং তাদের বিরোধিতার পরে নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পর দলটির প্রার্থীদের ‘আল্লাহু আকবর’ তেহরিক নামে নদল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে হয় যা নির্বাচনে বড় কোনো সাফল্য পায়নি। পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের তালিকায় ‘মিলি মুসলিম লীগ’-এর নাম নেই, তবে 2018 সালে, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন নিয়ে এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং এর সাথে যুক্ত সাতজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ” আন্তর্জাতিক জঙ্গি” তালিকায়।