Bangladesh: বাংলাদেশে ভোট গবেষণায় ‘তীব্র লড়াই’, হাসিনার ঘাড়ে খালেদার নি:শ্বাস

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। ভোট ঘিরে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির লড়াই তীব্র হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক গবেষণায় তথ্য উঠে আসছে।…

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। ভোট ঘিরে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির লড়াই তীব্র হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক গবেষণায় তথ্য উঠে আসছে। সম্ভাব্য ফলাফলে বলা হচ্ছে, ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার। তহে চমক আসছে বিরোধী ভোটে। নতুন করে দেশটির প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে চলেছে বিএনপি। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক লড়াইয়ের দুই মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে বেগম জিয়া দুর্নীতির একাধিক মামলায় বিচারাধীন ও গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে নামছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগের মুখ শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৬৬টি আসন পেতে পারে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি সর্বোচ্চ ১৩৭টি আসন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে গবেষণার ফল তুলে ধরেন। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৫টি আসনের ফলাফল মোটামুটি নির্ধারিত। এর মধ্যে ৭০টি আসন পাবে আওয়ামী লীগ ও ৭০টি আসন পাবে বিএনপি। বাকি ১৫টি আসন পাবে অন্যান্য দল। তবে এই আসন দিয়ে সরকার গঠন নিরূপণ হবে না। অন্য ১৪৫টি সংসদীয় আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। 

অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেন সম্ভাব্য ফলাফলের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি। বিএনপির পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই। বিএনপির জোটবদ্ধ সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকছে। গত কয়েকটি নির্বাচনের তথ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় নির্বাচনী কারসাজি, প্রহসন, জোরজবরদস্তি, টাকাপয়সার খেল-এসব স্থান পায়নি।

এদিকে বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগ, ভোট লুঠ করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। নির্দলীয় সরকার না হলে ভোট বয়কটের পথে ফের যেতে পারে বিএনপি। তবে দলীয় জনসভাগুলির জমায়েত দেখে বিএনপি নেতারা উচ্ছসিত।