গতি কমলেও হিংস্র রূপে পাকিস্তানের দিকে ধেয়ে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়

‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy) কতটা বিপর্যয় আনতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে? সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সাইক্লোন বিপর্যয়ের গতি কিছুটা কমেছে। তবে চিন্তার ভাঁজ কমছেনা…

‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy) কতটা বিপর্যয় আনতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে? সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সাইক্লোন বিপর্যয়ের গতি কিছুটা কমেছে। তবে চিন্তার ভাঁজ কমছেনা একটুও কারণ ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ এই মুহুর্তে ‘অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ (very severe cyclonic storm) বলা হচ্ছে।

ক্লাইমেট চেঞ্জ মিনিস্টার শেরি রেহমান টুইটারে জানিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের গতি কমলেও তবুও তা যথেষ্ট শক্তিশালী।“ তিনি আরও জানান যে গভীর রাতের আগে ঘুর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা নেই।

   

দুপুর ৩ টে নাগাদ পাকিস্তান মিটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (Pakistan Meteorological Department) বা পিএমডি জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পাকিস্তানের কেটি বন্দর এবং ভারতের গুজরাট মাঝামাঝি স্থলে আছড়ে পড়বে। পিএমডি-র তরফে আরও জানানো হয় যে গত ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তরপূর্বের দিকে সরে গিয়েছে এবং এই মুহূর্তে ( দুপুর ৩ টে) ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান করাচি থেকে ২২০ কিমি দূরে, থাট্টা থেকে ২১০ কিমি এবং কেটি বন্দর থেকে ১৩০ কিমি দূরে।

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে সাইক্লোনের সঙ্গে বইবে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। দমকা হাওয়া বয়বে ঘণ্টায় ১৪০ কিমি। ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’-এর প্রভাবে হাওয়া-ধুলো বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টি। ৫ থেকে ১৭ জুন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সিন্ধের থাট্টা, সুজাওয়াল, বাদিন, থার্পার্কার, মীরপূর্খাস এবং উমেরকোট।

সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে যে কেটি বন্দর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ল্যান্ডফলের সময় ৩-৪ মিটারের ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ৮০,০০ মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এয়ার প্রেশার ৩০ নোটিক্যাল নটস পেরিয়ে গেলেই পাকিস্তানের হায়দেরাবাদের করাচিতে সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে ভারতে শতর্কতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১ লক্ষের ওপর মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মিটিওরোলোজিকাল ডিপার্টমেন্ট (India Meteorological Department) এর তরফে জানানো হয়েছে ভারতে সন্ধ্যা ৮ টা থেকে ৮;৩০ মিনিটে আছড়ে পড়তে পারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’।