ক্ষমতার রদবদলের পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা চলছে বাংলাদেশে। হিন্দুদের মন্দির, বাড়িসহ সম্পত্তির ওপর লাগাতার হামলায় বেকায়দায় পড়তে হয় সেদেশের নতুন সরকারকে। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শান্তিপূর্ণ জমায়েতে সামিল হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আইন লাঘু করার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুখ পোড়ে নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।
সংখ্যালঘু নির্যাতন ‘গভীর উদ্বেগে’র, ঘরে-বাইরে ‘চাপে’ মুখ খুলল ইউনূস সরকার
ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বাংলাদেশের নয়া সরকারের উদ্দেশ্যে। তাই জন্মলগ্নেই সরকার যাতে কালিমালিপ্ত না হয় সেই দিকে নজর দেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা.মুহাম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছন নতুন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে সেটা কতটা কী হবে তা পরের বিষয়, তবে পূর্বের বঙ্গোপসাগরের আঁচ গিয়ে পড়েছে পশ্চিমের আরব সাগর পাড়ে।
সোমবার হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করবেন মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে নিজেদের দেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার আশ্বাস দিল পাকিস্তান। সম্প্রতি সেদেশের সংখ্যালঘু দিবসে এমন বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। তিনি বলেন,
“পাকিস্তানের সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে এদেশের সংখ্যালঘুদের সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়। সরকারও বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেয়।”
হিন্দু মন জয়ে দুর্গাপুজোয় তিনদিনের ছুটি দিয়ে নজির গড়তে চান ইউনূস
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন,
“পাকিস্তান দেশ গঠনে সংখ্যালঘুদের অবদান অনস্বীকার্য।”
১৯৪৭ সালে ১১ অগস্ট মহম্মদ আলি জিন্নাহ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে এদিনটিতেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘু দিবস হিসেবে পালিত হয়।