বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করলেও শেখ হাসিনার শাসন আমলে বারবার দাবি উঠেছিল সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার। অভিযোগ সেই দাবি শুনেও অগ্রাহ্য করেছিলেন হাসিনা। ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভে তাঁর সরকারের পতন হয়েছে গত ৫ আগস্ট। এবার নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নতুন অন্তর্বর্তী সরকা ইঙ্গিত দিল আসন্ন দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি ঘোষণার বিষয়টি আলোচনাধীন। ক্ষমতা দখলকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ নতুন করে গড়া হচ্ছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তত তিন দিন ছুটি দেয়ার দাবি বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার তিনি জানান আসন্ন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সারা দেশে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
সংখ্যালঘু নির্যাতন ‘গভীর উদ্বেগে’র, ঘরে-বাইরে ‘চাপে’ মুখ খুলল ইউনূস সরকার
উল্লেখ্য শেখ হাসিনার শাসনে বারবার দাবি উঠেছিল বাংলাদেশের সর্ববৃহত সংখ্যালঘুদের উৎসবে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক। সেটি কার্যকরী না হলেও শেখ হাসিনা নিজে দুর্গা পূজায় থাকতেন।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে দাবি করেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ বিষয়ে তাদের সব দাবি ক্যাবিনেট বৈঠকে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।