ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ম্যাসাচুসেটসে আসার আগে একটি সেলুনে বিনা অনুমতিতে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়েন ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের কয়েকজন এজেন্ট (US Secret Service Agents)। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের ওই সংস্থাটিকে সেলুন মালিকের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়, কারণ তিনি তাঁর সেলুন বা ওয়াশরুম ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেননি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৭ জুলাই যখন সিক্রেট সার্ভিস কমলা হ্যারিসের ডেমোক্র্যাট দেড় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পর হ্যারিসের প্রথম ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহের জন্য এলাকাটি সুরক্ষা করা হচ্ছিল।
ম্যাসাচুসেটসের পিটসফিল্ডে ফোর ওয়ান থ্রি সেলুনের মালিক অ্যালিসিয়া পাওয়ারস জানিয়েছেন যে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তাঁর সিসিটিভি ক্যামেরা টেপ করে, তারপর তালা ভেঙে তার বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়েন। সিকিউরিটি ফুটেজে দেখা গেছে যে একজন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট ক্যামেরা টেপ করার পর অনুমতি ছাড়াই সেলুনে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করেন আরও চার ব্যক্তি। পুরো ঘটনা জুড়ে সেলুনের সিকিউরিটি অ্যালার্ম বেজে ওঠে। অ্যালিসিয়া জানিয়েছেন যে সিক্রেট সার্ভিসের অনুরোধে তাঁকে তাঁর সেলুন বন্ধ করে দিতে হয়। বোমা চিহ্নিতকরণের কাজে ম্যাসাচুসেটসে এসেছিলেন ওই সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা।
অ্যালিসিয়া পাওয়ারস আরও অভিযোগ করেছেন, “তাদের এখানে এবং বাইরে একগুচ্ছ লোক ছিল। তাঁরা বোমা চিহ্নিতকরণের কাজে এসেছিলেন। তাঁদের ওয়াশরুম ব্যবহারের দরকার পড়েছিল এটা আমি বুঝতে পেরেছি। তবে আমাদের মনে হয়েছিল যে দলটির মধ্যে একটি বিশৃঙ্খল মনোভাব ছিল। শনিবার আমাদের বন্ধ করে দিতে হয় সেলুনটি।”
ঘটনার দিন, জরুরী চিকিৎসা পরিষেবার ইউনিফর্ম এবং পুলিশের ইউনিফর্ম পরা বিভিন্ন ব্যক্তি অনুমতি ছাড়াই ওয়াশরুম ব্যবহার করার জন্য সেলুনে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ জানান সেলুনের মালকিন অ্যালিসিয়া। তাঁর কথায়, “প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বেশ কয়েকজন এজেন্ট ভেতরে এবং বাইরে ছিলেন যাঁরা বিনা অনুমতিতে আমাদের ওয়াশরুম এবং কাউন্টার ব্যবহার করেন । সেলুনের অ্যালার্ম বাজতেও বেরিয়ে যাননি তাঁরা।”
সেলুনের মালকিন আরও জানিয়েছেন যে এজেন্ট এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা পরিষ্কার করার পরে, তাঁরা বিল্ডিংটি খুলে দেন। তবে তখনও ক্যামেরার টেপ সরেননি তাঁরা। বিল্ডিংয়ের বাড়িওয়ালা, ব্রায়ান স্মিথও নিশ্চিত করেছেন যে কোনও সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট প্রাঙ্গনে প্রবেশের অনুমতি নেননি এবং তাদের দেওয়াও হয়নি।
সিক্রেট সার্ভিস ঘটনাটি স্বীকার করে অ্যালিসিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন যে সংস্থার কর্মচারীরা মালিকের অনুমতি ছাড়া কোথাও সচরাচর প্রবেশ করেন না। তবে, সংস্থাটি এদিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের সেলুনের সিসিটি ক্যামেরায় টেপ দেওয়ার ঘটনাটি অস্বীকার করেননি।
সেলুনের মালকিনের সিক্রেট কাছে সার্ভিসের বোস্টন অফিস থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তাঁর ব্যবসার প্রতি সম্মানের অভাবের জন্য বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অ্যালিসিয়া বলেছেন, “যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা যদি একবার অনুমতি চাইতেন, তিনি সেলিব্রিটি হোন না বা হোন আমি দরজা খুলে তাদের জন্য কফি তৈরি করতাম এবং ডোনাট নিয়ে আসতাম যাতে তাদের জন্য একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটে। কিন্তু অনুমতি চাওয়ার সাহসও তাদের ছিল না। নিজেদের কাজ সেরে চলে গেলেন।”