ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার শাড়ি পাচার হচ্ছে পড়শি (Bangladesh) বাংলাদেশে। সীমান্তে এখন গরুর চেয়ে শাড়ি বেশি চাহিদা! বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানাচ্ছে, চলতি উৎসবের মাসে ভারতের দিক থেকে বিপুল শাড়ি পাচার চলছে। একাধিক পাচারকারী ধৃত। প্রায় প্রতিক্ষেত্রে বাজেয়াপ্ত করা শাড়ির মূল্য কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত। সিংহভাগ সীমান্ত আছে ভারতের পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঙ্গে।
বিজিবি জানাচ্ছে রবিহার (৩ নভেম্বর) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ১,০২৬ পিস শাড়ি, ৩৮০ পিস বিছানার চাদর, ২০ পিস কম্বল, ১২০০ পিস চশমা, ৩০০ পিস এনজিও গ্রাম কেডি তার, ৪০০ পিস বিউটি ক্রিম, ৬৫ পিস জিলেট গার্ড এবং ৯০০ পিস বিভিন্ন প্রকার জর্দ্দা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভারতের দিক থেকে শাড়ির চোরাচালান বেড়েছে। পড়শি দেশের অসম ও ত্রিপুরার লাগোয়া অঞ্চল দিয়ে বিপুল ভারতীয় শাড়ির পাচার বারবার ধরা পড়ছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) দায়িত্বাপূর্ণ সিলেটের সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ২০৪ পিস শাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। সেই অভিযানে ১৮০০ পিস সানগ্লাস, ৬৩০ পিস নিভিয়া সফট ক্রিম, ৩১ কেজি সার্ফ এক্সেল, ৯৬ বোতল মদ, ০৩টি মোটরসাইকেল, বাংলাদেশী রসুন ২,২০০ কেজি এবং পাথর উত্তোলনকারী ১২টি নৌকাসহ বিবিধ ভারতীয় চোরাইপণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়।

বিপুল শাড়ি পাচারের কারণ প্রায় স্থবির সীমান্ত বাণিজ্য বলে মনে করা হচ্ছে। গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে তীব্র গণবিক্ষোভে আওয়ামী লীগের টানা পনের বছরের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্যে লেগেছে ধাক্কা। চোরাচালানের এটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।