দর্শকদের কেউ হল থেকে বের হচ্ছেন ভেজা চোখে, কেউ আপ্লুত মনে, মুগ্ধতা প্রকাশ করতে করতে। যখন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ -এর ট্রেলার প্রকাশ হয় তখন দর্শকের সন্তুষ্টি তো দূরের কথা, বরং সমালোচনার শিকার হয়েছিল। তবে পুরো সিনেমায় যে নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা ছক্কা হাঁকিয়েছেন, তা দর্শকের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট।
গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের দেড় শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। সিনেমাটি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক। বাংলাদেশের সব হলেই এই সিনেমা এখন ‘হাউসফুল’। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র চলছে ‘মুজিব’ দেখার হিড়িক। এই ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
প্রত্যেক শোতেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকছে। দর্শকদের কথা অনুযায়ী, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রূপকার, জাতির রুপকার। তিনি এই দেশ এবং দেশের মানুষকে যা দিয়েছেন তার জন্য আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। এতদিন বইয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়েছি। এখন পর্দায় দেখতে পাচ্ছি তাঁকে।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের শিল্পী আরিফিন শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকরা। সঙ্গে তাক লাগিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ইমরোজ তিশা।সিনেমার শেষ দৃশ্য দেখে চোখে জল আসছে আবেগতাড়িত অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও।বিশেষ করে শেষ দৃশ্য দেখে তাঁরা কান্না ধরে রাখতে পারেননি।
যদিও সিনেমায় জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। তাই সিনেমা বন্ধের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তথ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।