Bangladesh: ভারত বন্ধ করেছে রফতানি, বাংলাদেশে চাল সংকট আশঙ্কা

এবছর বাংলাদেশে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সেক্ষেত্রে চালের দাম এবারে কিছুটা কম থাকার কথা। তবে ভরা মরসুমে বাজারে নেই সেই সুখবর। ধান ভালো হলেও চালের…

এবছর বাংলাদেশে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সেক্ষেত্রে চালের দাম এবারে কিছুটা কম থাকার কথা। তবে ভরা মরসুমে বাজারে নেই সেই সুখবর। ধান ভালো হলেও চালের দাম বাড়ছে। প্রতিবেশি ভারতের চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞার বড় প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাদেশে।

গত বছর যেখানে দাম চড়েছিল, এবারেও সেখানেই দাম। এরই মধ্যে ভারতের চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় বাজারে নতুন মোড়। নিষেধাজ্ঞায় বড় বড় ব্যবসায়ী, মিল মালিকরা কারসাজির পথ খুঁজছেন। তারা চাল মজুতের পথে হাঁটলে বাজারে সংকট দেখা যেতে পারে। যার ফলে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।

   

বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের কথায় ভারতের চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। এসময় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চাল মজুত করে থাকেন। কারসাজি ঠেকানো না গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।

শেখ হাসিনার সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ভারতের চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলবে না। কারণ দেশে এবার বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে। আমনের ফলনও ভালো হবে‌। আমদানিকারীরা মনে করছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি না হলেও তা বাজারে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে বোরো ধান থেকে। এবারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ১৫ লক্ষ টন। তবে উৎপাদিত হয়েছে ২ কোটি ১৮ লক্ষ টন। আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টন।

তবে উৎপাদন ভালো হলেও রাশিয়া ইউক্রেনে উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন দানাদার খাদ্য শস্যের আন্তর্জাতিক বাজার। ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি নবায়ন করা থেকে সরে গেছে রাশিয়া। এতে বিশ্ববাজারে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নয়া সংকট ভারতের নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশে বাড়ছে চালের কালোবাজারির চিন্তা।