Sheikh Mujibur Rahman: বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের খুনি নূর ঘুরছে প্রকাশ্যে

বিশ্ব কাঁপানো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে (Sheikh Mujibur Rahman)  সপরিবারে খুন করা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বা়ধীনতা…

বিশ্ব কাঁপানো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে (Sheikh Mujibur Rahman)  সপরিবারে খুন করা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বা়ধীনতা দিবস উদযাপনের সময় বাংলাদেশে হয়েছিল সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান। ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজের বাড়িতেই মারা যান শেখ মুজিবুর রহমান। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ততকালীন বাংলাদেশ সেনার অফিসার নূর চৌধুরী প্রকাশ্যে ঘুরছে! এমন ছবি প্রকাশ করল কানাডার একটি টিভি চ্যানেল। নূর দীর্ঘ সময় ঘরে কানাডায় আশ্রিত। তাকে বাংলাদেশ সরকার ফাঁসি দিতে মরিয়া। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশ আলোড়িত। তেমনই আলোড়ন ভারতেও। কারণ, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হয়ে ভারতের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কানাডার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল CBC এক প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু খুনে জড়িত নূর চৌ়ধুরীকে দেখায়। সেই প্রতিবেদন সম্প্রচার হতেই আলোড়ন পড়ল বিশ্বজুড়ে। কারণ,বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছে নূর চৌধুরী কানাডায় আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেই কানাডায় গিয়ে সে দেশের মৃত্যুদণ্ড বিরোধী আইনের আওতায় চলে এসেছে। তবে বাংলাদেশের দাবি মতো নূর চৌধুরীকে কোনওভাবেই প্রত্যর্পণে রাজি হয়নি কানাডা সরকার।

CBC প্রতিবেদনে দেখা যায় নূর চৌধুরী তার বাড়ির বারান্দায় ও কখনো নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে। টরন্টো শহরে নূর চৌধুরী আছে বলে প্রতিবেদন জানান। তবে ক্যামেরা দেখে নূর দ্রুত চলে যায়। রিপোর্টে বলা হয়, টরেন্টো থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ইটোবিকো শহরে একটি ফ্ল্যাটে থাকে ৭০ বছর বয়সী বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যার পর  বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকের চাকরি করেছিল নূর। অভিযোগ সব জেনেও তাকে কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন বাংলাদেশের অপর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তবে সেনাবাহিনী আরও একটি অভ্যুত্থানে গুলি করে খুন করা হয়েছিল জিয়াউর রহমানকেও। এরপর সামরিক শাসন ও তার পরবর্তীতে বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ভোটে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। তখন হংকং থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে গেছিল নূর চৌধুরী। ২০০৬ সালে সেই শরণার্থী হিসেবে কানাডা সরকারের কাছে আবেদন করে। সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কানাডা ত্যাগের নির্দেশ দেয় সে দেশের সরকার। বাংলাদেশে ফিরলে মৃত্যুদণ্ড হবে জানিয়ে নূর পুনরায় থাকার জন্য আবেদন করে। কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী আ়ইনের ধারায় নূর সে দেশে থাকার সুযোগ পায়।

বঙ্গবন্ধু খুনের ঘটনায় নূর চৌধুরীর অন্যতম সহযোগী আব্দুল মাজেদ ২০২০ সালে ধরা পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। দীর্ঘ সময় কলকাতা ও বনগাঁয় ছদ্মবেশে ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে দ্রুত ভারত সরকার প্রত্যর্পন করেছিল। বাংলাদেশে ফা়ঁসি হয়েছে মাজেদের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত কয়েকজন পলাতক ও কয়েকজনের ফাঁসি হয়েছে।