Bangladesh: ঢাকায় পুলিশি হেফাজত থেকে জঙ্গি পলাতক, ভারত সীমান্তে সতর্কতা

বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। রাজধানী ঢাকায় (Red Alert)  লাল সতর্কতা। আদালত থেকে পলাতক দুই ফাঁসির আসামি আনসার আল ইসলাম জঙ্গি গোপনে ভারতে ঢুকতে…

বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। রাজধানী ঢাকায় (Red Alert)  লাল সতর্কতা। আদালত থেকে পলাতক দুই ফাঁসির আসামি আনসার আল ইসলাম জঙ্গি গোপনে ভারতে ঢুকতে পারে এমনই আশঙ্কা। এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য যুক্তিবাদীরা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে যারা লেখালেখি করেন তাদের খুন করা। এই জঙ্গি সংগঠনটির শাখা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আগেই জাল বিছিয়েছে।

জানা যাচ্ছে পুলিশকর্মীদের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে বাইরে চাপিয়ে নিয়ে যায় এক যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বাইক চালককে চিহ্নিত করতে মরিয়া ঢাকা মহানগর পুলিশ। এভাবে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন ও শেখ হাসিনার সরকার।

চিরুনি তল্লাশি, গোপন সূত্র ধরে খবর নেওয়া, সীমান্তে কড়া নজরদারি সবই চলছে। ফাঁসির আসামি দুই পলাতক জঙ্গির সর্বশেষ সিসিটিভি ফুটেজ ধরে চলছে তাদের পরবর্তী গতিবিধির সন্ধান। দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলেই ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। এমনই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রবিবার ভিড়ে ঠাসা ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত যে দুই জঙ্গি পলিয়েছে তাদের নাম আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব আর মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান। দুজনই ২০১৫ সালে ঢাকার যুক্তিবাদী প্রকাশনী জাগৃতি’র প্রকাশক আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে খুন করায় জড়িত। তদন্তে উঠে আসে দীপন খুনে জড়িত তৎকালীন এবিটি তথা বর্তমান আনসার আল ইসলাম টিম জঙ্গি সংগঠন জড়িত।

  • আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির পুরনো নাম আনসরুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)
  • জঙ্গি সংগঠনটির একটি শাখা পশ্চিমবঙ্গে জাল বিছিয়েছে আগেই
  • পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকজন যুক্তিবাদীর নাম আছে তাদের তালিকায়
  • বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির কয়েকজন আগেই পশ্চিমবঙ্গে ধৃত

আনসার আল ইসলাম সংগঠনের মূল চাঁইয়ের নাম মেজর জিয়া। সে বাংলাদেশ সেনার বরখাস্ত হওয়া অফিসার। পরে জঙ্গি হয়। তারই নির্দেশে সংগঠনটি যুক্তিবাদীদের খুন করে। দীপন খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে  নাম মেজরর জিয়া আছে। তবে সে আত্মগোপনে। বাকি যে কয়েকজন ধৃত তারাও মৃত্যুদণ্ডের আসামি।

বাংলাদেশে পুলিশের কব্জা থেকে আগেও জঙ্গি পালিয়েছে

২০১৪ সালে ময়মনসিংহে পুলিশের ভ্যানে হামলা করেছিল জেএমবি জঙ্গিরা। হামলা চালিয়ে  সংগঠনের শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনকে ছিনিয়ে নেয় তারা। সেই থেকে নিখোঁজ জেএমবি সংগঠনের প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীন। সে বর্তমানে সংগঠনটির ভারতীয় শাখা জেএমআই প্রধান। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহর (এখন পূর্ব বর্ধমান জেলা) লাগোয়া খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে উঠে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের জমি ব্যবহার করে বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশি জঙ্গি কমান্ডার সালাউদ্দিন সালেহীন।