Bangladesh: তিস্তা এলাকা উন্নয়নে বাংলাদেশের আহ্বান, উত্তরবঙ্গের খুব কাছে সক্রিয় চিন

নির্বাচনে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা থাকা নিশ্চিত বলেই মনে করেছে চিন সরকার। দেশটির তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশ্র তিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন…

নির্বাচনে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা থাকা নিশ্চিত বলেই মনে করেছে চিন সরকার। দেশটির তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশ্র তিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের বার্তা দেওয়া হলো। ঢাকায় এমনই জানালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেছেন, তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চিন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চিন দেশ বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত (পরিকাঠামো) উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে।

বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনের এমন দাবির পরই প্রশ্ন আসে, যেহেতু তিস্তা সংলগ্ন এলাকাটি ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের খুব লাগোয়া সেক্ষেত্রে ভারতের আপত্তি উঠলে বাংলাদেশ কী করবে?বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, এক্ষেত্রে তিস্তায় চিনের কাজ নিয়ে ভারতের আপত্তি কতটুকু তার পর্যালোচনা করা হবে। কোনও আপত্তিজনক প্রস্তাব ভারতের পক্ষ থেকে যদি আসে, তখন ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব। সে অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

বাংলাদেশের জমিতে চিনের পরিকল্পনা:
(১) প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। এতে নদীর গভীরতা বাড়বে ১০ মিটার।

(২) নদীশাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো। নদীর দুই পারে বাঁধ মেরামত কর। দুই পারে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। এই নদি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত। তিস্তা নদীর জলবণ্টন নিয়ে দুদেশের মধ্যে চুক্তি এখনও হয়নি। চুক্তি সম্পাদনে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেসের নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের তীব্র আপত্তি আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন শাসকদল সিপিআইএমের আমলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি হয়েছিল।

তবে এবার তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি ঝুলে থাকলেও ভারত সীমান্তের কাছে তিস্তা ব্যারেজে উন্নয়নে চিনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকায় বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক মুখপাত্র সেহলী সাবরিন জানান, চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তাঁর দেশের বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর উন্নয়নে চিন কাজ করতে আগ্রহী। চিনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবে চিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে চলা তিস্তা নদী থেকে ভারতের অত্যন্ত কৌশলগত এলাকা চিকেনস নেক বা শিলিগুড়ি করিডর খুব কাছে। ভারত মনে করে, তিস্তা উন্নয়নে কাজের নামে চিন চিকেনস নেককে নিজেদের কব্জায় নিতে চায়। এ কারণে ভারত তার চিকেনস নেকের সামনে চিনের উপস্থিতি দেখতে চায় না। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র বলেছেন, আপত্তি এলে বিবেচনা হবে।