Wildlife Trafficking: তৃণমূল নেতার জেল, বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস

রাজ্যে বণ্যপ্রাণী পাচারের (wildlife trafficking) বিরাট চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে এমন কিছু নাম যারা সরাসরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ বা নেতা।

TMC leader involved in pangolin smuggling

রাজ্যে বণ্যপ্রাণী পাচারের (wildlife trafficking) বিরাট চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে এমন কিছু নাম যারা সরাসরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ বা নেতা। উত্তরবঙ্গ থেকে অতি বিরল প্যাঙ্গোলিন (বনরুই) পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত তৃণমূলের উপপ্রধানকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দিল আলিপুরদুয়ার আদালত। ধৃতকে জেরা করে বেশকিছু পাচারচক্রে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

অতি নিরীহ প্যাঙ্গোলিন মূলত পিঁপড়ে, উই খায়। এটি পিপিলীকাভুক শ্রেণির একধরণের প্রাণী। গোটা গায়ে মাছের আঁশের মতো থাকায় এর আরও এক নাম বনরুই। বিরলতম বন্যপ্রাণীর তালিকায় আছে প্যাঙ্গোলিন। এমন প্রাণীর বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। প্যাঙ্গোলিন পাচারে জড়িত থাকায় তৃ়ণমূল কংগ্রেসের নেতা জেমস বড়গাঁওকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন আলিপুরদুয়ার আদালতের বিচারক।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ধৃত জেমস বড়গাঁও আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের খোয়ারডাঙ্গা-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। শুক্রবার একটি প্যাঙ্গোলিন সহ ওই তৃণমূল নেতা বনদফতরের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে। প্যাঙ্গোলিন পাচার চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম থেকে প্যাঙ্গোলিনটি পাচারের জন্য আনা হয়েছিল।

তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতকে জেরা করে বন্য প্রাণী পাচারচক্রের বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এদিকে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জেমস বড়গাঁওকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। ফলে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে। এই ঘটনায় পশুপ্রেমী ও বন্যপ্রাণ বাঁচাও সংগঠনগুলি আরও সরব। অভিযোগ, শাসক দলের একাংশের মদতে চলছে রাজ্যের বন্যপ্রাণ পাচার।

তৃণমূলে কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজ দল কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। আইন আইনের পথে চলবে। দলগতভাবে ধৃতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।