Attack On ED: সন্দেশখালিতে মার খেয়ে মরিয়া ইডি, শাহজাহান গ্রেফতারের প্রস্তুতি

পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তালা খুলে তল্লাশির চেষ্টা করছে ইডি-র অফিসারেরা। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করা তো দূরের কথা, প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হল আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর…

পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তালা খুলে তল্লাশির চেষ্টা করছে ইডি-র অফিসারেরা। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করা তো দূরের কথা, প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হল আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পালাতে হল এলাকা ছেড়ে। কে এই শাহজাহান, যার জন্য এত মানুষ সাত সকালে হুড়মুড়িয়ে চলে এল ইডি-কে সরাতে? এমনিতে তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গত নির্বাচনেই জয়ী হয়ে এই পদ পেয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তবে বেশিদিনের তৃণমূল নন। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, একসময় সিপিএম-এর সমর্থক ছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই তিনি হয়ে গেলেন তৃণমূল।

কেউ কেউ বলেন, শাহজাহানের কথা ছাড়া নাকি একটা পাতাও নড়ে না সন্দেশখালিতে। তার বাড়িতে যেতে গিয়ে আগেও আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও অনেক সময় তোয়াক্কা করেন না শাহজাহান। ভোটব্যাঙ্ক নাকি থাকে তার হাতেই। একসময় হেরোইন-এর ব্যবসা করার অভিযোগও উঠেছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি ছিল, আসলে যত সম্পত্তি আছে, তা নাকি হলফনামায় দেখাননি শাহজাহান। তিনি একটি শপিং মলের মালিক বলেও দাবি করেছিলেন শুভেন্দু, পার্ক সার্কাসে নাকি রয়েছে তার কোটি টাকার বাড়ি।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন শেখ শাহজাহান। এদিনের হামলায় সেই রোহিঙ্গারা অংশ নিয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এই ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গোচরে আনতে চান বিজেপি নেতারা। এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা এদিন এক্স মাধ্যমে ঘটনার নিন্দা করে লিখেছেন, “আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এই হামলায় রোহিঙ্গারা উপস্থিত ছিল বলেই আমার সন্দেহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপালকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।”

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি সব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক করতে চায় বলে এভাবে ব্যাখ্যা করে । তৃণমূলই টার্গেট। রাজনীতির কথা না বলে সাম্প্রদায়িক কথা বলা হচ্ছে।”