কলকাতাঃ আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং কাণ্ডে মুখ পুড়েছে রাজ্যের।থানায় মহিলাকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ পাকড়াও করে তাঁকে। তাঁর নানান কুকর্মের কাণ্ডকারখানা ফাঁস হতে থাকে একে একে।
মাথায় হাত ভাইপো অজিতের! ‘পাওয়ার প্লে’-তে বাজিমাত শরদের
জয়ন্তের সঙ্গে নাম জড়ায় তৃণমূলের প্রথম সারির তাবড় নেতাদের। ওই ঘটনায় এরপর বাধ্য হয়েই সাফাই গাইতে বাধ্য হয় রাজ্যের শাসক দল। অপরাধীদের সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল নেতা তথা দমদমমের সাংসদ সৌগত রায়।
Amit Shah: “বেনিয়ার ছেলে আমি, সব হিসেব রাখি” – শাহর হিসেব পারবে রাজ্যের বিজেপিকে বাঁচাতে?
জয়ন্ত পর্ব মিটতে না মিটতেই এবার সামনে এল আরও এক ব্যক্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দার (Jamaluddin Sardar)। তার বিরুদ্ধেও উঠেছে গণপিটুনির অভিযোগ।সালিশি সভার প্রস্তাবে রাজি না হলে শিকলে বেঁধে মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে এই ‘তৃণমূল কর্মী’র বিরুদ্ধে। ‘পলাতক’ জামালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতেই তৃণমূল অবশ্য তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে।
তার মধ্যেই জামালকাণ্ডে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিকলে বেঁধে পেটানোর ঘটনায় মঙ্গলবারই মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সর্দার নামে দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। বুধবার ওই দুই অভিযুক্তকে পেশ করা হবে বারুইপুর আদালতে। এদিকে জামালের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মামলা: মমতাকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
একাধিক দূর্নীতি, লুঠ, জমি হাতিয়ে প্রাসাদপ্রমোদ বাড়ি নির্মাণ মহিলাদের ওপর নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপরে। এই বিষয়ে এতদিন চুপ থাকলেও সালিশি সভায় মহিলা নির্যাতনের ঘটনার পরই মুখ খুলতে শুরু করেন অনেকে। সেই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নেমে ধরপাকড় শুরু করে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাওয়ায় মূল অভিযুক্ত জামালকে ধরার সুযোগ হয়নি পুলিশের। তবে তাঁর দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ।