Visva Bharati: ইউনেস্কোর নির্দেশিকায় তীব্র চাঞ্চল্য, বিশ্বভারতীকে কী লিখতে হবে ?

বিশ্বভারতীতে ফলক সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠাল ইউনেস্কো। সেখানেও নেই বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। ফলকে লেখা রয়েছে বৈষিক সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণার্থে শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্য…

The second Visva-Bharati is being made in 'Tagore Top', reading has started from July

বিশ্বভারতীতে ফলক সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠাল ইউনেস্কো। সেখানেও নেই বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। ফলকে লেখা রয়েছে বৈষিক সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণার্থে শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্য সারণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সারণিতে অন্তর্ভুক্তে শান্তিনিকেতন বিশ্বজনীন সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ব সুনিশ্চিত করে এবং বিশ্বমানবের স্বার্থে এটি সুরক্ষা আবশ্যক।

সম্প্রতি ইউনেস্কো বিশ্বভারতীতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ঘোষণা করেছে এবং সেকথা উল্লেখ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের আর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম ফলকে বসিয়েছেন অথচ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রবীন্দ্রনাথের নাম্ না থাকায় বিতর্ক ছড়িয়েছে।

রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে অবিলম্বে রবীন্দ্রনাথের নাম ফলকে উল্লেখ করতে হবে। রাজ্যপালও এই ব্যপারে কড়া তার বক্তব্য ও পদক্ষেপ করেছেন। বিরোধী দল বিজেপির পাল্টা সাফাই রবীন্দ্রনাথ যেহেতু প্রতিষ্ঠাতা সেহেতু তার নাম বিশ্বভারতীতে সর্বত্র রয়েছে। তার মধ্যেই ইউনেস্কোর এই নির্দেশিকা যাবতীয় বিতর্কে জল ঢালল কিনা তা নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ মহল।

বিশ্বভারতীর তরফে লাগানো ফলকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় বর্তমানে বিতর্ক তুঙ্গে। গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিনের মধ্যে সেই ফলক না বদল হলে দলকে আন্দোলনে নামার নির্দেশও দেন মমতা।

সম্প্রতি বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে UNESCO, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই স্বীকৃতির কথা জানিয়ে একটি ফলক লাগানো হয়। সেই ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ছিল না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।