পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভাঙড়, ঝলসে গিয়েছে বহু

অশান্তি জারি ভাঙড়ে। চালতাবেড়িয়ায় বোমা ফেটে আহত চার। আহতরা চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ভাঙড়ে। ঘটনায় ঝলসে গিয়ে আহত হয়েছেন…

অশান্তি জারি ভাঙড়ে। চালতাবেড়িয়ায় বোমা ফেটে আহত চার। আহতরা চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ভাঙড়ে। ঘটনায় ঝলসে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার ভয়াবতা এতটাই প্রবল যে আহতদের কারও হাত, পা, কারও মুখ, কারও শরীরে বীভৎসভাবে পুড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে গণনার রাতে ভাঙড়ে গুলিতে নিহত ও আহতের সংখ্যা নিয়ে চলছে বিতর্ক। এদিন ফের ভাঙড়ে বিস্ফোরণ।চালতাবেড়িয়ার চকমরিচা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ জন জখম সকলেই আইএসএফ কর্মী।

জানা যাচ্ছে, আহতরা একটি গাড়ি করে কলকাতার পথে রওনা দেয়। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আধিকারিকরা বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলা এলাকায় গাড়িটি আটকায়। গাড়ির ভিতরকার ভয়াবহ দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে আহতরা আইএসএফ কর্মী। তারা বোমা বাঁধছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এই বিষয়ে বলেছেন, “বোমায় ঝলসে গিয়েছে, নাকি বোমা দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত দরকার৷ আমরা এর সিবিআই তদন্ত চাই।”

মঙ্গলবারে গুলি চলেছিল ভাঙড়ে। পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ভাঙড় জুড়ে চলছে পুলিশ টহল। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ আগে  হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোট গণনার রাতে বোমা হামলার পর নওশাদ সিদ্দিকি বলেছিলেন, “ব্যাপারটা বড়ো ষড়যন্ত্র। আধিকারিক প্রশাসন, তৃণমূলের গুন্ডা। আরাবুল ইসলাম তার বাহিনী নিয়ে ভিতরে ঢোকে। বাইরে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার করা হয়। গুলি বর্ষণ করা হয়। সত্য উদঘাটন করব, এর বিচার হবে আইনের মাধ্যমে বুঝে নেব। এক ইঞ্চি ছাড় হবে না।”