গ্রাম বাংলায় ভোটের ‘উৎ-শব’! একদিনে এক ডজনের বেশি নিহত

‘ভোট উৎ-শবে’ স্বাগত জানাই। শবের মিছিল চলছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয়। রাজ্য পুলিশ অসহায়। গুলি চলছে দেখার। মৃত্যু হচ্ছে পরপর।পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ জন।…

‘ভোট উৎ-শবে’ স্বাগত জানাই। শবের মিছিল চলছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয়। রাজ্য পুলিশ অসহায়। গুলি চলছে দেখার। মৃত্যু হচ্ছে পরপর।পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ জন। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটপরবর্তী হিংসা আরও বাড়বে। শনিবার ভোটগ্রহণের দিনই বেলা আড়াইটে পর্যন্ত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গ্রাম বাংলার ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন,”অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে উত্তরে রাজীব বলেন, “গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানান। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।”

   

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। দিনভর ভয়াবহ সন্ত্রাসে এখনও পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১২ জন। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পূর্ব বর্ধমান থেকে একের পর এক খুন হয়েছেন। খড়গ্রাম, রেজিনগর, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, চাকুলিয়ায় খুন সাত জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। লালগোলা, আউশগ্রামে নিহত দুই সিপিএম কর্মী। নওদায় এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ অমূলক তা প্রমাণ হয়েছে শনিবার। তবে একাধিক জেলা থেকে বুথ লুঠ রুখে দেওয়ার ঘটনা এসেছে। কোথাও জনতা সরাসরি ভোট বন্ধ করেছেন। পুলিশকে আটকে রেখেছেন।

রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তর ভোট হয়। জিটিএ অধিভুক্ত এই দুই জেলার পঞ্চায়েত এলাকা একেবারে নিরুপদ্রব। একটি অপ্রীতিকর ঘটনা আসেনি। তবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও মালদায় ভোট লুঠ ঘিরে তীব্র অশান্তি ছড়ায়।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন।