Nadia: কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ২০ টি বোমা, আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি জওয়ানদের

নদিয়ার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ কেন্দ্রে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে শনিবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে। এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে…

নদিয়ার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ কেন্দ্রে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে শনিবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে। এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথ কেন্দ্রে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রায় ২০ টার বেশি বোমা ছোড়ে বাহিনীকে লক্ষ্য করে। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সময় পালটা পাঁচ রাউন্ড শূন্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে খবর। নিজেদের আত্মরক্ষা করতেই গুলি চালান জওয়ানরা।

রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কার্যত মেনে নিয়েছেন যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব নয়। তিনি বললেন, ‘অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”

জায়গায় জায়গায় যে অশান্তির খবর কি কমিশনের কাছে পৌঁছচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বললেন, ‘ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ৬০০-র মতো অভিযোগ সামনে এসেছে। কমিশন সমাধানও করছে।‘

কমিশনারকে এই নির্বাচন কি শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানান। সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।

রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কার্যত মেনে নিয়েছেন যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব নয়। তিনি বললেন, ‘অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”

পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।