কর্মী খুনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের

নিজস্ব সংবাদদাতা, খেজুরি: খেজুরি জনকা পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি গ্রামের তৃণমূল কর্মী মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কার্যত উত্তপ্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খেজুরি বিধানসভার বারাতলা ও কলাগেছিয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা…

নিজস্ব সংবাদদাতা, খেজুরি: খেজুরি জনকা পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি গ্রামের তৃণমূল কর্মী মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কার্যত উত্তপ্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খেজুরি বিধানসভার বারাতলা ও কলাগেছিয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। অবরোধের ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খেজুরি ও তালপাটি উপকুল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর পাত্র বলেন, “তৃণমূল কর্মী শম্ভু দাসকে রাতে তুলে খুন করে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করেও আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো৷ “

প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে এক তৃণমূল সমর্থককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুরোপুরি অভিযোগের তীর উঠেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় খেজুরি ২ ব্লকের জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি গ্রামে।

মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শম্ভু দাস ( ৪২) । শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সমর্থক শম্ভু দাস পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। বুধবার রাতে ওই তৃণমূল সমর্থককে বিজেপির বুধ সভাপতি উৎপল দেবদাস বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। রাস্তায় রক্তের দাগ রয়েছে বলে দাবি। খেজুরি থানার পুলিশ আছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিজেপি নেতার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।