Jangalmahal: মাওবাদী হুমকি বাড়তেই লুকোচ্ছেন তৃণমূল নেতারা, ছড়াচ্ছে ভয়

জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) সব জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা রয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় লাল কালিতে লেখা পোস্টার পড়েছিল। আর তারপরেই গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয় হাই এলার্ট।…

জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) সব জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা রয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় লাল কালিতে লেখা পোস্টার পড়েছিল। আর তারপরেই গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয় হাই এলার্ট। এমনকি জঙ্গলমহলের আওতায় থাকা বিভিন্ন থানায় পুলিশের ছুটি বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি গোটা এলাকা পরিদর্শন করে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে যে সাম্প্রতিককালে বাঁকুড়ার (Bankura) জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বাড়ছে মাওবাদীদের আনাগোনা।

যদিও কোনও ভাবেই এই মাওবাদীদের (Maoist) উপস্থিতি স্বীকার করতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মাওবাদী আনাগোনা যে ক্রমশ বাড়ছে তা তাদের কাজকর্মে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাত বাড়লেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাচ্ছেন। শহরে লাগোয়া কোনও বাজার এলাকায়।

   

গত ৮ এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বনধে আর কোথাও প্রভাব পড়ুক না পড়ুক জঙ্গলমহল এলাকার ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। বন্ধ ছিল দোকানপাট, শুনশান হয়ে গিয়েছিল রাস্তাঘাট। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়কে পাত্তা দিতে নারাজ প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য সনত মাহাতো। তার বক্তব্য, পঞ্চায়েতে ব্যাপক উন্নয়ন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। সুস্থ এবং সফলভাবে পঞ্চায়েতে তৃণমূল উন্নয়নের কাজ করে চলেছে।

কিন্তু বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষের বক্তব্য একেবারেই আলাদা। তাদের বক্তব্য গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দুর্নীতি উন্নয়নের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করছে। যা বর্তমানে শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।