লোকসভা নির্বাচন মিটলেও তার রেশ এখন কাটেনি। তৃণমূল (TMC) থেকে শুরু করে বিজেপি, সব দলই নিজেদের জয়-পরাজয় নিয়ে পর্যালোচনায় ব্যস্ত রয়েছে। এরই মধ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ভোটে খরচের জন্য দল থেকে দেওয়া টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষের দাবি, দলের তরফে নির্বাচনে খরচ করার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ দলের কর্মীদের অভিযোগ, ভোট খরচের জন্য দলের দেওয়া টাকা বুথ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। সেই টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন হীরালাল।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষ সাফ জানিয়েছেন, দলের পাঠানো টাকা টাকা অঞ্চল সভাপতির কাছেই পৌঁছেছে। কিন্তু উনি সঠিক জায়গায় খরচ করেনি। এদিকে ভগবন্তপুরের অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এবার অ্যাপেই মিলবে ইনকাম ও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, পঞ্চায়েত দফতরের বিরাট উদ্যোগ
এদিন নির্বাচনের সময় দলীয়ভাবে যে টাকা পাঠানী হয়েছিল, তার হিসেব চেয়ে অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এদিকে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির দাবি, দলের ব্লক সভাপতির মদতে ঘটেছে গোটা ঘটনা।
এর আগে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি থেকেও। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ পরিবারের সদস্যা অমৃতা রায় অভিযোগ করেন, প্রচারে আসা টাকা হাতিয়েছেন বিজেপির কিছু উপর সারির নেতা। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে রাজমাতা একটি তালিকা তৈরি করেছেন এবং সেই তালিকা দিল্লির নেতৃত্বদের কাছে তুলে দিয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা।