টাকা দিলেই চাকরি হবে, ভাগ্নেকেও ছাড় নেই ! তেহট্টের TMC বিধায়ক মহা ফাঁপরে

চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। সেই অভিযোগে তাঁকে তলব করেছে রাজ্য পুলিশ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠে…

Tehatta MLA Tapas Saha in Controversy over Money Collection

চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। সেই অভিযোগে তাঁকে তলব করেছে রাজ্য পুলিশ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ৷ পরিস্থিতি বুঝে নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা মুখ লুকাচ্ছেন।

অভিযোগ, পলাশিপাড়ার বিধায়ক থাকাকালীন নিজের খুড়তুতো বোনের ছেলেক চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন তাপস সাহা। এখন চাকরিও হয়নি। টাকাও ফেরত পাননি। তাকে চরম দারিদ্রে দিন কাটাতে হচ্ছে। টাকা লেনদেনের বিষয়টি জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ অভিযোগ, কিছুই হয়নি।

একইসঙ্গে মূল অভিযোগকারীর বক্তব্য, তিনি টাকা দিয়েছিলেন তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে। এমনকি তাপস সাহার কথামতো টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। টাকা লেনদেনের বিষয়ে তাপস সাহা অবগত ছিলেন বলেই জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। আরও এক জনের বক্তব্য, চার জনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই টাকা ফেরত দেননি।

গত এপ্রিল মাসেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দুর্নীতিদমন শাখা। ধৃতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিল তারা। পরে পুলিশের হাতে আসে তারা।

তদন্তে নেমে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ হাতে পায় পুলিশ। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিধায়ক। অভিযোগ, টাকা নিলেও চাকরি দেননি বিধায়ক। এরপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। তাই একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার তলব করা হয়েছে বিধায়ক তাপস সাহাকে।