Darjeeling: সপ্তাহ শুরুতে দার্জিলিংয়ে গরম হাওয়া, অনশনে বসছেন গুরুং

জিটিএ নির্বাচনের আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পার্বত্যাঞ্চলে গরম হাওয়া বইতে শুরু করল। সোমবার থেকে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনশন কর্মসূচি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরংয়ের।…

জিটিএ নির্বাচনের আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পার্বত্যাঞ্চলে গরম হাওয়া বইতে শুরু করল। সোমবার থেকে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনশন কর্মসূচি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরংয়ের। তার অনশন ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।

নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই হাঁটছিলেন বিমল গুরুং। জল্পনা বাড়িয়ে বিমলের বার্তা,জিটিএর নির্বাচনে অংশ নেবে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

গোজমুমোর গুরুং শিবির জিটিএ ভোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে সাংগঠনিক দূর্বলতা। কারণ, পুরভোটে দার্জিলিংয়ে লজ্জাজনক ফল পেয়েছে গুরুংয়ের মোর্চা শিবির। দার্জিলিংয়ে এখন নতুন শক্তি হামরো পার্টি। মনে করা হচ্ছে, জিটিএ ভোটে আরও করুণ পরিস্থিতি আঁচ করেই বিমল গুরুং ভোট থেকে সরে থাকতে চাইছেন।

রবিবার দার্জিলিংয়ে এক সাংবাদিক সন্মেলনে গুরুং নিজের অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের জন্য তাঁর সংগঠন সবসময় লড়াই করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও লড়াই করবে। তাঁর সঙ্গে কে থাকবেন কে থাকবেন না তিনি তা দেখবেন না। বিমলের স্পষ্ট বার্তা, তার লড়াই যেভাবে চলছিল সেভাবেই থাকবে। ভবিষ্যতে তিনি কি আবার পাহাড়ের নির্বাচন নিয়ে মুখ্য ভূমিকা নেবেন? সময়ই বলবে বলে জানিয়েছেন গুরুং।

শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। এর পরেই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ২৬ জুন হতে পারে জিটিএ নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৭ মে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নবান্ন।

গোজমুমো গুরুং শিবির দাবি করছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ২০১১ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি মেনে না নেওয়া অবধি নির্বাচন হবে না। প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে৷

দার্জিলিং পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না হাওয়া নির্বাচন নয়৷ এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রয়াত সুবাস ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফ। জিটিএ নির্বাচন করানোর বিষয়ে রাজ্যকে পুনরায় বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২১ জুন। এর মধ্যে রাজ্য সরকার চাইলে নির্বাচন করিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু ফলপ্রকাশ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছে আদালত৷ একমাত্র রায় ঘোষণার পরেই নির্বাচন সম্ভব বলে জানিয়েছে আদালত।