নিয়োগ দুর্নীতি (Bengal SSC Scam) মামলায় হগলী জেলার স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ইডির হেফাজতে৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কর্মকাণ্ডের পর্দাফাঁস হচ্ছে প্রতিদিন৷ পাশাপাশি শান্তনুদের কার্যকলাপ নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন দলের নেতারাই। প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে বহু নেতাদের। তৃণমূল সূত্রে খবর, শুধুমাত্র শান্তনু নয়, এই ধরনের যুব নেতারা রাজ্যজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তার ফলে পঞ্চায়েতে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে তৃণমূল।
তৃণমূল অন্দরের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে, গরু পাচার, অবৈধ বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই ধরনের যুব কর্মীরা। এখন দলের বলীয়ান নেতারা তাঁরাই। অন্যদিকে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে যারা দলের হয়ে অতিসক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করছিলেন তাঁরাই এখন ব্রাত্য। দলের অন্দরের এই ভেদাভেদের কারণে দলের অন্দরেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, অনেক কর্মীরাই নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে শুরু করেছেন। দলের অন্দরে এই ফাটল তৃণমূলের জন্য মোটেই সুখকর নয়৷ যেভাবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সততার প্রতীক লিখতে না পারার কারণে আফসোস করছেন, আগামী দিনে তা আরও স্পষ্ট হতে পারে৷ সেখানে বাড়তি ফায়দা পাবে বিরোধীরা।
আগামী ১৭ তারিখ দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাগরদিঘিতে হারের পর্যালোচনা যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে পঞ্চায়েত ভোটের কর্মসূচির বিষয়েও। একাধিক অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে এবং স্বচ্ছতার নজির গড়ে তুলতে কী পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল? সেটাই দেখার৷