রাজ্য জুড়ে বাম গণজোয়ার! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মিছিলে সমর্থক টানতে বামফ্রন্ট (Left Front) শিবিরে জুড়ি মেলা ভার। ভোটের দিন এই বিপুল বাম জনস্রোত দ্বিধান্বিত-ছত্রাখান হয়ে যান। এর ফল, গত এক দশকে বঙ্গ বাম শাসক থেকে বিরোধীদল হয়ে বিধায়ক-সাংসদ শূন্য দল। তবে বিশ্লেষণে এও উঠে এসেছে CPIM নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট জমায়েত করতে লেটার মার্কস পেল ফের।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার বিচার চাই পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, সরাতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে- এই দাবি তুলে বামফ্রন্টের ডাকে রাজ্য জুড়ে বিশাল বিশাল মিছিল হল। সিপিআইএমের জেলা কমিটিগুলির আহ্বানে দলীয় বিভিন্ন শাখা ও গণ সংগঠনসহ বাম সমর্থকরা মিছিলগুলিতে অংশ নেন। দেখা যায় এক জেলার মিছিলের আয়তন অন্য জেলার মিছিলের সঙ্গে আড়ে বহরে টক্কর নিয়েছে।
শিলিগুড়ি থেকে আসানসোল অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মিছিলে গণজোয়ার দেখে বাম নেতৃত্বের হাসি চওড়া। কলকাতাসহ জেলাগুলিতে বাম মিছিলের স্লোগান ‘প্রমাণ লোপাট করো যদি, ডাকাত রানি ছাড়ো গদি‘। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই কটাক্ষ করা হয় মিছিল থেকে।
কলকতায় বিক্ষোভ মিছিলে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, ছাত্র নেত্রী দীপ্সিতা ধর, বাম নেতা কলতান দাসগুপ্ত, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এ মিছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল।
বিশ্লেষণ বলছে, দেড় দশক আগে ২০১১ সালে রাজ্যে টানা ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়েছিল। ক্ষমতায় এলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে বামফ্রন্টের মিছিল ও জমায়েতে জনসমাগমে ভিড়কে শাসকপক্ষ কুর্নিস জানিয়েছে। সর্বশেষ বাম যুব সংগঠনের ব্রিগেড জমায়েতের ছবি বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল। এরপরেই লোকসভা নির্বাচমে রাজ্য বামফ্রন্ট ভোট পরীক্ষায় শূন্য পেয়ে ডাহা ফেল করেছে।