বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে বিএসএফের উদাসীনতার অভিযোগ, পুলিশ সুপারকে চিঠি তৃণমূল নেতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের ধরতে ও বিএসএফের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারকে চিঠি তৃণমূল জেলা সভাপতির। চিঠিতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা…

TMC

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের ধরতে ও বিএসএফের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারকে চিঠি তৃণমূল জেলা সভাপতির। চিঠিতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত দাবি বিজেপির।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার বনগাঁ পুলিশ সুপারকে চিঠি দিলেন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “বনগাঁ মহকুমা সীমান্তবর্তী এলাকা। স্থানীয় দুষ্কৃতী ও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এখানে ঢুকে পড়ছে৷তাদের কাছে অস্ত্রের ভান্ডার আছে।” গোপাল বাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন বে-আইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে৷ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে যাতে মান্যতা দেওয়া হয় সে কারণে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।” বনগাঁ মহাকুমা সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ উদাসীন থাকায় স্মাগলিং ও অসামাজিক কাজকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

   

যদিও গোপাল বাবুর এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল। তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি বনগাঁয় প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে বনগাঁ। গোপাল শেঠের চিঠিতে সেই কথাই প্রমাণিত হয়। পাশাপাশি আরও বোঝা গেল বনগাঁয় পুলিশ কোন কাজ করছে না।” বিএসএফ প্রসঙ্গে দেবদাস বলেন, “বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় থাকায় নিয়মিত সোনাসহ একাধিক পাচারের মাল ধরা পড়ছে। যারা ধরা পড়ছে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতার সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণেই বিএসএফের বিরুদ্ধে মিথ্যা আঙুল তুলছে বনগাঁ ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।”