Hasnabad Blast: হাসনাবাদ বিস্ফোরণের তদন্তে NIA, NSG, রোবট নামবে তো? প্রশ্ন কুণালের

হাসনাবাদ বিস্ফোরণ (Hasnabad Blast) নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, সন্দেশখালিতে ‘অস্ত্র উদ্ধার’ করতে একযোগে অভিযানে নেমেছিল…

Kunal Ghosh

হাসনাবাদ বিস্ফোরণ (Hasnabad Blast) নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, সন্দেশখালিতে ‘অস্ত্র উদ্ধার’ করতে একযোগে অভিযানে নেমেছিল সিবিআই, এনএসজি! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নামানো হয়েছিল রোবট! হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার বরিষ্ঠের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে নাকি প্রচুর পরিমাণে বোমা মজুত করা হয়েছিল। সিবিআই, এনএসজি এই বিস্ফোরণের তদন্ত করবে তো?

আজ সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। এই প্রসঙ্গে কুণাল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বসিরহাটের অন্তর্ভুক্ত হিঙ্গলগঞ্জের হাসনাবাদ পঞ্চায়েতে বিজেপির নেতা নিমাই দাসের ভাইয়ের বাড়িতে মজুত রাখা বোমার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত বাড়ির বাসিন্দারা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই প্রবল গরমে মজুত করে রাখা অত বোমায় বিস্ফোরণের ফলেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস সত্যাসত্য দেখুক।

নিমাই দাস বিজেপি করেন বলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই ঘটনার তদন্ত করবে না, এমনটাই দাবি কুণালের। তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ বলেন, নিমাই দাসকে কাদের সঙ্গে দেখা যায়? শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা, কখনও শুভেন্দু অধিকারী, কখনও বিএল সন্তোষ এবং নিমাই দাস হচ্ছেন পরিচিত, বিজেপির মুখ। তাঁর বরিষ্ঠের বাড়িতে বিস্ফোরণ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে? তো এইখানে সিবিআই যাবে না? এনআইএ আসবে না। এনএসজি ঢুকবে না। কারণ বিজেপির বাড়িতে ব্লাস্ট হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে যায় সিবিআই। সরবেড়িয়ায় ভেড়ি ঘেরা একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে তারা। সিবিআইয়ের সঙ্গে ওই অভিযানে ছিল NSG-ও। রিমোটচালিত রোবটও নিয়ে আসা হয়। সেই প্রসঙ্গেই বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এতটাই শক্তিশালী বোমা বিজেপি নেতার বাড়িতে রাখা ছিল, তীব্র গরমে-চাপাচাপিতে ফেটে গিয়েছে। ওই বাড়ি প্রথমে বিজেপি নেতারা ঘিরে ছিল। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার অভিযোগ আসছে।

এদিকে সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, সামান্য চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, NSG-র দরকার পড়ছে কেন? যেন যুদ্ধ চলছে। সন্দেশখালির অভিযানের কথা তো রাজ্য পুলিশকে আগে জানানোই হয়নি। একতরফা ভাবে অভিযান চালানো হয়েছে। যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি কোথা থেকে এল? হয়ত আগে থেকে নিজেরাই ওখানে রেখে এসেছে। কোনও কিছুরই তো কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।