Ssc scam: ‘আমি কি দোষ করেছি ‘, বিধানের মানবিক প্রশ্ন কোর্টের কাছে

সোমবার এক ধাক্কায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৬০০০ জন চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অ শিক্ষক কর্মী। কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে গিয়েছে।…

সোমবার এক ধাক্কায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৬০০০ জন চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অ শিক্ষক কর্মী। কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে গিয়েছে। অযোগ্য প্রায় ৫ হাজার প্রার্থীদের জন্য চাকরি গিয়েছে গোটা প্যানেলে থাকা সবারই। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অযোগ্যদের ফেরত দিতে হবে মাইনে। ১২ শতাংশ সুদ সমেত তাঁদেরকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে টাকা। কিন্তু কোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে গিয়েছে একমাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের। সেই সোমা দাসের প্রতি মানবিক হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট কিন্তু সেই মানবিক মুখ কেন দেখা গেল না বিধান বাউড়ির ক্ষেত্রে?

কে এই বিধান বাউড়ি? কেনইবা তাঁর প্রতি মানবিক হবে কলকাতা হাইকোর্ট? বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ঘোড়ামুলী গ্রামের বিধান বাউরির জন্ম অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবারে। মা সনকা বাউরি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনও ক্রমে ছেলেকে লেখাপড়া শেখান। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে গ্রুপ সি পদে চাকরি পান বিধান। ২০১৮ সালে ছাতনা ব্লকেরই একটি হাইস্কুলে যোগদান করেন বিধান। এরপরেই বাউরি পরিবার একটু আশার আলো দেখেছিল। সেই সঙ্গে একটু ভাল করে বাঁচার আশায় নিয়েছিল ব্যাংক লোনও। এই মুহূর্তে তাঁর উপরে নির্ভরশীল মা, বাবা, দিদি এবং অন্তসত্ত্বা বউ। এমনি সবই ভাল চলছিল। কিন্তু ছন্দপতন ঘটল ২০২২ সালে।

২০২২ সালে বিধান বাউরির শরীরে থাবা বসায় কর্কট রোগ। চাকরির টাকায় ভরসা করে তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর ক্যান্সারের চিকিৎসা কী ভাবে করবেন, লোনই বা কী ভাবে মেটাবেন? এই নিয়ে ভেবে ভেবে ক্লান্ত বিধান। এক ঝটকায় বিধান ছিটকে পড়েছে মাটিতে। শুধু তাই নয় বিধানের প্রশ্ন সোমাকে যে ভিত্তিতে চাকরিতে রাখা হলো সেই একই কারণে আমাকে নয় কেন? বিধানের এই মানবিক  প্রশ্নের কি জবাব দেবে কোর্ট? হয়ত সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে!