Firhad Hakim: অধীর সর্বহারা বলে কটাক্ষ ফিরহাদের

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা ও রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে বঙ্গ-যুদ্ধ চলছেই। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

Firhad Hakim Adhirranjan Chowdhury

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা ও রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে বঙ্গ-যুদ্ধ চলছেই। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এই নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ (TMC vs Adhirranjan Chowdhury) করতেও ছাড়েননি।

পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা পুরসভায় টানাপোড়েন। এই কংগ্রেস বোর্ড গড়ল, আবার দল ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যেতেই, ঘাসফুলের পাল্লা ভারী। এসবের মধ্যে বোর্ড গড়েছিল কংগ্রেস। সম্প্রতি চার কংগ্রেস কাউন্সিলর-সহ মোট ৫ জন চলে আসে তৃণমূলে। এরপরই রাজ্যের একমাত্র পুরসভা কংগ্রেসের ক্ষমতায় ছিল, তাও হাতছাড়া হয়ে যায়।

এনিয়ে অধীর বলেছিলেন, ‘লুঠ, জবরদখলের সংস্কৃতি তৃণমূলের। সেই সংস্কৃতির শিকার ঝালদা।’যদিও ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ‘একটা ছোট্ট পুরসভা। সেখানে কে কার সঙ্গে ঝগড়া করছে, কে কখন চলে আসছে এভাবে বলা মুশকিল। তৃণমূলে ছিল, কংগ্রেসে গেল, আবার ফিরে এল। এসব নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল।’

মুর্শিদাবাদের রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করেও কংগ্রেস তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। কংগ্রেস বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। স্থায়ী সমিতির সভায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার আদালতের এই নির্দেশ নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের পেট নাকি ইন্ডিয়ার গেট জানি না।”

তার পাল্টা এবার ফিরহাদ বলেন, “অধীরবাবুর এলাকায় এমনিই অধীরবাবু নেই। একটা বিধায়ক নেই। নিজের এলাকাতেই সর্বহারা অধীরবাবু। বিজেপিকে বাংলায় আটকাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাংলায় অস্তিত্বহীন দলের অস্তিত্ব রাখার পক্ষে মানুষ নয়।”