বাংলার গরু পাচার মামলায় (cow smuggling case ) গত বছরের ১১ অগাস্ট থেকে লৌহকপাটের ওপার দলের ‘বীর’ কেষ্টা৷ গ্রেফতারের পর থেকেই বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে আসানসোলের সংশোধনাগার। মামলার শুনানির জন্য আদালতের পেশের আগে সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, কেষ্টার ওজন গত ছয় মাসে ১৯ কেজি ওজন কমেছে৷ পরিসংখ্যা মতে, গত তিনমাসে তিনমাসে ওজন কমেছে ৯ কেজি।
এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুব্রতকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, ২৫ অগাস্ট জেলে আসার আগে অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছিল। সেই সময় তাঁর ওজন ছিল ১০৯.৯ কেজি। এরপর গত নভেম্বরে তাঁর ওজন হয়েছিল ১০০ কেজি। এরপর সোমবার তাঁর ওজন হয় ৯১ কেজি। অর্থাৎ ১৯ কেজি ওজন কমেছে। কেষ্টর শরীরে ওজন কমা নিয়ে উদ্বেগে অনুগামীরা।
এদিন আদালতে প্রবেশের মুখে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শরীর ভালো নেই। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মেডিকেল এমার্জেন্সি নেই। যে সমস্ত ওষুধু খেতেন, সেগুলোই চলবে। অনুব্রত দেহে সুগারের মাত্রা ১১১, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৯। তাঁর পাইলস ইতিমধ্যেই আগে অপারেশন হয়েছে এবং ফিসচুলাও আছে। সেই ফিসচুলা পরীক্ষা করে দেখা দেখা গিয়েছে তাঁর এখনই কোনও এমার্জেন্সি নেই।
গত অগাস্ট মাস থেকে একটানা জেলে রয়েছেন অনুব্রত। বারবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক তুলে ধরা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। গরু পাচার মামলায় তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ভূমিকা রয়েছে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গরু পাচারের বিপুল টাকা একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট মারফত কালো টাকা সাদা করার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোনভাবেই তাঁর বের হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।


