মালদহের সভা থেকে মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরদের নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুল উচ্চারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে৷ এই দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই উত্তাপের আগেই সরব হন মতুয়া মহাসংঘ।
শুক্রবার রাজ্যের একাধিক প্রান্তে মতুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আরাধ্য দেবতার নাম জানেন না৷ এটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা৷ মতুয়াদের এই বিক্ষোভে দেখা গেছে বিজেপি নেতাদের৷ তৃণমূলের হয়ে কেউ ভোট চাইতে এলে লাঠি, ডঙ্কা, কাঁসি নিয়ে তৃণমূলের মুখে তুলে মারার নিদান দেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার৷ মুখ্যমন্ত্রীর মতিভ্রম হয়েছে। চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি মতুয়াদের গরু ছাগল মনে করেন। মতুয়াদের কেবল ভোট বাক্সে ব্যবহার করছেন। এমনটাও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।
লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব টোপ দিয়ে মতুয়া ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুড়েছিল বিজেপি। যা বাংলায় বিজেপির মাটি শক্ত করতে বিরাট সাহায্য করেছিল। পরে পাল্টা মমতার যুক্তি ছিল ভোট দিতে পারলে মতুয়ারা নাগরিক নয় কেন? মমতার যুক্তিতে বিশ্বাস করেছিল মতুয়ারা৷ মতুয়া ভোটের রাশ আলগা হচ্ছে। আন্দাজ পেয়েই ফের সক্রিয় হয়েছে বিজেপি৷
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতার মন্তব্যে মোটেই খুশি নন মতুয়ারা। এর প্রভাব সরাসরি এসে পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে৷ দ্রুত এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ না করলে আরও একবার মতুয়াদের ভোটে ভাগ বসাবে বিজেপি। এমনিতেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতারের পর বেজায় ক্ষুব্ধ ফুরফুরা শরিফ। এখন মতুয়া ভোটে ভাটা পড়লে আগামী নির্বাচনে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে রাজ্যের শাসক দলকেই।